• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯
বিরল ঔষধি বৃক্ষ ‘নাগলিঙ্গম’

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

বিরল ঔষধি বৃক্ষ ‘নাগলিঙ্গম’

  • আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০২১

নাগলিঙ্গম; বিরল প্রজাতির ঔষধি গুণসম্পন্ন এক ধরনের উদ্ভিদ। দেশের অনেক স্থানে এটি সচরাচর দেখা না গেলেও শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) ক্যাম্পাসে এ বিরল গাছটি দেখা যায়।

বিটিআরআই’র উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ সূত্র জানায়, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিসেপটিক ঔষধি গুণ রয়েছে এ উদ্ভিদে। দক্ষিণ আমেরিকায় এ উদ্ভিদটির উৎপত্তিস্থল। এ বৃক্ষটি সাধারণত ৮২ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। ফুল কমলা ও রক্তবর্ণ রঙের হয়। এখন বিটিআরআই’র নাগলিঙ্গাম গাছটিতে ফুল ও ফল দুটিই শোভা পাচ্ছে। ফলগুলো চকোলেট রঙের। যার ব্যাস প্রায় ১৫ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। একটি ফলে ২০০ থেকে ৩০০ বীজ থাকে। ফ্রান্সের উদ্ভিদবিজ্ঞানী জে এফ আবলেট ১৭৫৫ সালে এর নামকরণ করেন। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ঈড়ঁৎড়ঁঢ়রঃধ মঁরধহবহংরং।

বিটিআরআই সূত্র জানায়, দক্ষিণ আমেরিকায় এ গাছের পাতা ও ছালের নির্যাস চর্মরোগ ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এবং এতে সুফলও মেলে। নাগলিঙ্গমের কচি পাতা দাঁতের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। এর ফলের নির্যাস শরীরে ব্যবহার করলে পোকামাকড় ও মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ আল হেলাল বিটিআরআই ক্যাম্পাসে এ নাগলিঙ্গম গাছের চারাটি রোপণ করেছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads