• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

মৃত্যু বেশি বয়স্কদের, আক্রান্ত বেশি যুবকরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন, তাদের ৮ হাজারের বেশির বয়স পঞ্চাশের বেশি।

আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় চার লাখই যুবক, যাদের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুবকরা বাইরে বের হচ্ছে বেশি, তাই সংক্রমিতও বেশি হচ্ছে। আর নানা শারীরিক জটিলতার কারণে বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত বছরের মার্চে প্রাদুর্ভাবের পর বুধবার পর্যন্ত ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জনের দেহে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১০ হাজার ৮১ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। সংখ্যার হিসাবে তা ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৪ জন।

এদের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশের (১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫) বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৭ দশমিক ১ শতাংশ বা ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৯ জন।

শনাক্ত রোগীদের ২ দশমিক ৯ শতাংশের বয়স ১০ বছরের কম। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যে ১০ হাজার ৮১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষই ৮০ দশমিক ৮৯ শতাংশ অর্থাৎ, ৮ হাজার ১৫৫ জন। মোট মৃত্যুর ৫৬ দশমিক ২৯ শতাংশ অর্থাৎ ৫ হাজার ৬৭৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, সারাবিশ্বেই বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি। যাদের কোমর্বিডিটি থাকে, তারা করোনাভাইরাসে বেশি সাফার করে এবং তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বয়স্কদের অনেকেই জানেই না তার ডায়াবেটিস আছে, হাইপারটেনশন আছে। এ কারণে আক্রান্ত হওয়ার পর বাসায়ই জটিলতা তৈরি হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আসলে কিছু করার থাকে না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads