• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে’

ফাইল ছবি

জাতীয়

‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০২১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের দেশের অবস্থাও পার্শ্ববর্তী ভারতের মতো হয়ে যেতে পারে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ বুলেটিনে তিনি এ সতর্ক বার্তা দেন।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। তবে মৃত্যুর হার এখনো এক দশমিক ৪৮ শতাংশ। তাই আমাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের চিত্র আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মতো হয়ে যেতে পারে।

আমরা যদি ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশনের মধ্যে পড়ে যাই তাহলে আমাদের অবস্থা কী পরিমাণ ভয়ঙ্কর হবে সেটা চিন্তা করার জন্যও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান তিনি। বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বর্তমানে করোনার অসম্ভব ঊর্ধ্বগতি চলছে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। সেখানে যে দুটো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো পুরো পৃথিবীর বিস্ময়। বলা হচ্ছে এগুলো ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশন ভাইরাস। আমরা আবারো সবাইকে বলতে চাই, কোনোক্রমেই যেন এই ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশন আমাদের দেশে না এসে পৌঁছায়।

কোয়ারেন্টাইন করতে হলে সেটা হতে হবে ১৪ দিন। এর নিচে কোয়ারেন্টাইন সম্ভব নয়। কোয়ারেন্টাইন পালন করানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ছাড়াও এখানে আরো অনেক অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। যদি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে বিষয়টিকে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন যেন নিশ্চিত হয়। আর এটা যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টাইন যেন সবাই কঠোরভাবে পালন করে।  কারণ পাশের দেশে যে ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে, সেটা অত্যন্ত মারাত্মক এবং ৩০০শত গুণ বেশি ক্ষমতা চারিদিকে সংক্রমণ করার।

আমরা এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছি। সরকার ঘোষিত লকডাউন আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। কিন্তু আজ সীমিত পরিসরে শপিংমল এবং দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন কোনো পরিপূর্ণ সমাধান নয়। একইসঙ্গে এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই জনগণকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কঠোর হয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads