• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কৃষক বাঁচাতে বেশি দামে ধান কিনবে সরকার

ফাইল ছবি

জাতীয়

কৃষক বাঁচাতে বেশি দামে ধান কিনবে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০২১

কৃষক বাঁচাতে চলতি বোরো মৌসুমে কেজি প্রতি ১ টাকা বেশি দামে ধান এবং ৩ টাকা বেশিতে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল ২৮ এপ্রিল থেকে কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা দরে ৬ লাখ টন ধান এবং ৭ মে থেকে ৪০ টাকা দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল আসন্ন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচি উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সাথে ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সভায় মন্ত্রী জানান, গত ২২ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভার কয়েকটি সিদ্ধান্ত অসম্পূর্ণ ও নীতিগত সমস্যা থাকায় সেদিন সংবাদ সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। বোরোতে কৃষকে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার চিন্তা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হয়েছিল।’ সেই হিসাবে এবার এক টাকা বেশি দরে ধান ও ৩ টাকা কেজি দরে চাল কেনা হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি সঠিকভাবে আমরা ধান-চাল কিনতে পারব, মাঠ পর্যায়ে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে এই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে, কোনো কৃষক যাতে ধান নিয়ে এসে ফেরত না যান। কোনো ঝামেলা যেন না হয়। চালের মানের বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। সঠিকতা বজায় রেখে ৪০ শতাংশ আর্দ্রতার চাল ও ধান কেনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

গত বছরের চেয়ে এবার ধানে ১ টাকা এবং চালে ৩ টাকা বাড়ানোকে কী কৃষকের প্রতি সদয় দৃষ্টি দেওয়া হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে ৬০ কেজি ধানে ৩৯ কেজি চাল হয়, সেই হিসাবে প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা হলে প্রতি কেজি চালের দাম হওয়ার কথা ৪২ টাকা কয়েক পয়সা। খুদ-কুঁড়ো বাদ দিয়ে আমরা দাম ৪০ টাকায় এনেছি। এর চেয়ে দাম বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম আরো বাড়বে। এতে আরো অস্থিরতা দেখা দেবে।’

বাজারে দাম বেশি থাকলে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না, এবার এই আশঙ্কা করছেন কি না-এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো আমরা সেই আশঙ্কা করছি না। কারণ এখনো ফসল ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুযোগ যদি না হয় ধান যদি তোলা যায়, এবার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’

এবার বোরো ধান ও চালের কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেক জায়গা থেকে একেক রকম এসেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একরকম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে একরকম। তবে সরকার যে সেচে, সারে প্রণোদনা দেয় তাতে আমি মনে করি উৎপাদন খরচ থেকে তাদের লাভবান করে এই রেট দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads