• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
করোনা টিকার নিবন্ধন বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

করোনা টিকার নিবন্ধন বন্ধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসের টিকার ঘাটতি থাকায় প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার টিকার নিবন্ধন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন করে কেউ টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না। তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আপনারা জানেন টিকা সংকটের কারণে ইতোমধ্যে আমরা প্রথম ডোজ বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও আমাদের প্রায় ১৪ লাখের মতো টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় আপাতত টিকার নিবন্ধন আমরা স্থগিত করেছি।

তিনি বলেন, নতুন করে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া যখন শুরু হবে, সে সময় আবার নিবন্ধন চালু করা হবে। এর মধ্যে আমরা বাকি টিকাগুলো দিতে থাকব।

তিনি আরো বলেন, টিকার চালান চুক্তিমতো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যে কারণে আপাতত যাদের নিবন্ধন করা আছে, তাদেরই টিকা দেওয়া শেষ করতে চাই আমরা। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনকারীর মোট সংখ্যা ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৮৩৬ ও নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯২৩ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩১ লাখ ৬ হাজার ৭০৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২০ লাখ ৮ হাজার ৭৬১ ও নারী ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৮ জন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। সরকার গণটিকা শুরু করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে। কার্মসূচি শুরুর সময় হাতে টিকা ছিল ৭০ লাখ ডোজ টিকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের কেনা ৫০ লাখ, আর ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। পরে সিরাম পাঠায় আরো ২০ লাখ এবং ভারত উপহার হিসেবে পাঠায় আরো ১৩ লাখ।

করোনার টিকা একজনকে দিতে হয় দুই ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ৫৮ লাখ দেওয়ার পর সরকার সেটি বন্ধ করে এখন কেবল দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে যে টিকা মজুত আছে, তা দিয়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। ঘাটতি আছে ১৩ লাখের বেশি।

প্রথম ডোজের টিকা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ সিরাম আর টিকা দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে টিকার জন্য চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। দুটি দেশ থেকে টিকা আসার পাশাপাশি দেশেও উৎপাদন করতে চায় সরকার। তবে এই টিকা আসতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আর সে টিকা এলেও সিরাম থেকে আরো প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টিকা না এলে যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তাদের সবাইকে টিকা দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads