• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

‘খালেদা জিয়ার অন্ধকারে নিমজ্জিত জন্মদিন অবশেষে প্রকাশ’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২১

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসের টেস্টে আরেকটি জন্মদিন আসার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, অবশেষে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টে তাঁর আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হলো।

সোমবার (১০ মে) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৩টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতোদিন বেগম জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলো, প্রকৃত অর্থে তাঁর জন্মদিন করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে। দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সাথে চলতে পারে না, পারে না সত্যকে লুকিয়ে রাখতে, হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না, তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না।

পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্ট, অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এই দিনে বেগম জিয়া এতোদিন তাঁর ভুয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলো।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা জাতির পিতার হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করারই শামিল বলে জনগণ মনে করেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?

বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালনকারী বেগম জিয়ার জন্মদিন বিষয়ক আসল সত্য তিনি নিজেই উন্মোচন করেছেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম জিয়া কেক কেটে উৎসবের সাথে ভুয়া জন্মদিন পালন করতেও দেখেছে জাতি।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর, পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট, আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট তাঁর জন্মদিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেল বেগম জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।

সপরিবারে জাতির পিতার হত্যা দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করা কতটা নিষ্ঠুর ও বিদ্বেষ প্রসূত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার মুক্তি এবং চিকিৎসা নিয়ে এর আগেও রাজনীতি করেছেন এখনো করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তাঁর রোগমুক্তি অবশ্যই কামনা করি, তাঁর বয়স বিবেচনায় এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে মানবিক নেতৃত্ব শেখ হাসিনা সাজা সাময়িক স্থগিত করেছিলেন।

তিনি দাবি করে বলেন, বিএনপি নেতারা এখনো বেগম জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতিকে অধিক মনোযোগ দিচ্ছেন। তাঁর বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সবাই জেনেছে তাই এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

সেতুমন্ত্রী মানুষকে করোনায় সচেতন হতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ঈদ উৎসব যাতে অন্তিম উৎসবে পরিণত না হয় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির এবং সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads