• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৮০ শতাংশ শয্যা খালি 

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৮০ শতাংশ শয্যা খালি 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০২১

রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮৪ শতাংশ সাধারণ শয্যা ও ৭৫ শতাংশ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা বর্তমানে রোগীশূন্য।

আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে ফের করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঈদুল ফিতরে গ্রামে যাওয়া ও ঈদ শেষে শহরে ফিরে আসা লাখো মানুষের জনস্রোতের কারণে ফের সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধির আশঙ্কা তাদের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ৪২টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট সাধারণ শয্যা পাঁচ হাজার ২৪১টি (১৫টি সরকারি হাসপাতালে শয্যা তিন হাজার ৪৪০ এবং বেসরকারি ২৭টিতে এক হাজার ৮০১টি)। সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে দুই হাজার ৭৪৫টি শয্যা এবং বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৬৭০টি শয্যা খালি। শতাংশের হিসাবে সরকারি হাসপাতালের ৮০ শতাংশ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৯৩ শতাংশ সাধারণ শয্যা রোগীশূন্য। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৫৫টি আইসিইউ (সরকারি ৩৭৪ ও বেসরকারি ৪৮১টি) শয্যার মধ্যে বর্তমানে মোট ফাঁকা রয়েছে ৬৩৮টি। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৪৭টি ও বেসরকারি হাসপাতালের ৩৯১টি শয্যা খালি রয়েছে। শতাংশের হিসাবে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে আইসিইউ শয্যা ৭৫ শতাংশ খালি। এর মধ্যে সরকারিতে ৬৬ শতাংশ এবং বেসরকারিতে ৮১ শতাংশ আইসিইউ শয্যা খালি। তবুও কেন করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে শঙ্কিত স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা, জনমনে এ প্রশ্ন উঠতেই পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ঈদে যারা গ্রামে গেছেন তাদের ঈদের আগের মতো গাদাগাদি করে শহরে ফিরে না এসে এক দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসার অনুরোধ জানান। গত রোববার (১৬ মে) করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝামাঝি আছি। একসঙ্গে লাখো মানুষ ফিরে আসলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়বে। দেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বিভিন্ন উৎস্য থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।’ করোনার সংক্রমণ রোধে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।

এর আগে ঈদের দিন ঢামেক হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘সারা দেশে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যা, আইসিইউ ও আইসিইউ সমতুল্য শয্যা, হাই ডিপেনডেনসি শয্যা, হাইফ্লো নাজেল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুত রয়েছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, করোনার সংক্রমণ অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে এদেশে এমনটা হওয়া অমূলক নয়। তাই সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads