• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯
করোনার টিকা তৈরি হবে গোপালগঞ্জে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

করোনার টিকা তৈরি হবে গোপালগঞ্জে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২১

দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গোপালগঞ্জে যে সরকারি ওষুধ কারখানা করা হয়েছে, সেখানেই উৎপাদন হবে এই টিকা।

দেশে উৎপাদন হলে করোনার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা আর থাকবে না বলে আশা করছেন তিনি। তবে টিকার প্রযুক্তি নিশ্চিত হওয়া গেছে কি না, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের যে ওষুধ কারখানা আছে সেখানে বা তার পাশে ভ্যাকসিন তৈরির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটা তৈরি করতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এখন থেকে কাজ শুরু হয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। এজন্য আমরা এরইমধ্যে মিটিংও করেছি। সেখানে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ লোকজন ছিল এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করতে বলেছি।

দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতিতে সোমবার নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ তথা লকডাউন শুরু হচ্ছে। তবে এবার এই বিধিনিষেধ পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে।

সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের হাতে টিকার মজুতের অপর্যাপ্ততা নিয়েও আছে উদ্বেগ।

ভারত থেকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার পরিকল্পনা কাজ করেনি। সিরাম ইনস্টিটিউট ৭০ লাখ টিকা দেয়ার পর আর পাঠাতে পারেনি দেশটির সরকারের নিষেধাজ্ঞায়।

টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে প্রত্যাশিত ছয় কোটি ৭০ লাখ টিকা কবে আসবে সেটি নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত এসেছে এক লাখ। আর ৪০ লাখের মতো আসবে কিছুদিনের মধ্যে।

চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে ১১ লাখ টিকা। আর এই দেশ থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি টিকা কেনার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেটিও এখন চূড়ান্ত হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও এখনও ফলপ্রসূ কিছু হয়নি।

এই দুই দেশটি থেকে টিকার প্রযুক্তি এনে সরকার দেশে উৎপাদনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে অগ্রগতি কী, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

চাহিদা অনুসারে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন চাই সেই অনুপাতে পাই না। আমরা ভারতের সঙ্গে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করছিলাম। কিন্তু পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ। আর ৩০ লাখ আমাদের উপহার দিয়েছে।’সংক্রমণ রোধে লকডাউন বাধ্য হয়ে দিতে হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘লকডাউন বাধ্য হয়ে দিতে হয়। কারণ, হাতে ভ্যাকসিন না থাকলে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনই একমাত্র কার্যকর পন্থা। বিশ্বের সবদেশ লকডাউন দিয়েই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লকডাউন চাই না। কারণ, লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের, দেশের অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। কাজেই লকডাউন আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষায়, করোনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লকডাউন দিতে হচ্ছে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads