• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
করোনায় কোরবানি পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় মেহেরপুরের খামারিরা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

করোনায় কোরবানি পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় মেহেরপুরের খামারিরা

  • মেহেরপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০২১

ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শঙ্কা ঘিরে ধরছে মেহেরপুরের গরু খামারিদের মধ্যে, ‘এবারের ঈদে আকাঙ্খিত ব্যবসা হবে কি না!’ লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে খামারিদের।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের খামারীরা। কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন ধরনের স্টরয়েড ও হরমন জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে ঝুঁকি থাকায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। এবার কোরবানীর জন্য জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার গরু ছাগল প্রস্তুত করেছে খামারীরা। তবে করোনার কারণে গরু ছাগল বিক্রি নিয়ে চিন্তিত চাষী ও খামারীরা।

জেলার কয়েকটি খামারিদের আলাপে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারো গরু প্রস্তুত করেছেন তারা। বিক্রির জন্য অনেক স্থানে ইতোমধ্যে কোরবানির হাট বসতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের মতো এবারো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বিশেষ করে এবার করোনার ভয়াবহ ডেল্টা ধরন সারাদেশে ছাড়িয়ে পড়ায় লকডাউন দিয়েছে সরকার। এতে শেষ পর্যন্ত কোরবারির পশু বিক্রির অবস্থা কী দাঁড়ায়- তা নিয়ে খামারিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। আবার মহামারী করোনায় এবার রাজধানীসহ সারা দেশেই কমেছে হাটের সংখ্যা।

এবারের কোরবানীর ঈদের জন্য জেলার ৪০০টি বাণিজ্যিক খামারসহ ২৮ হাজার পারিবারিক খামার থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার গরু ছাগল। এলাকার কোরবানীর চাহিদা ৭৮ হাজার ৮০৩টি পশু। বছর জুড়ে দেশীয় গরুর দাম বেশি থাকায় এবার গরু বিক্রি করে অধিক লাভবানের আশা করেছিল চাষীরা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে হতাশা বিরাজ করতে খামারীদের  মধ্যে।

সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের গরু খামারী জিল্লুর রহমান জানান, গত বছরে করোনার কারণে ঠিকমত গরু বিক্রি করতে পারিনি। এবারও যদি বিক্রি করতে না পারি তবে পথে বসতে হবে।

ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রশাসন অনলাইনে গরু বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিলেও অনেকে অনলাইন বুঝে না এবং নেটওয়ার্কেক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম জানান, সরকারের নির্দেশনা মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারীরা যাতে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে তার জন্য প্রশাসন আন্তরিক।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে খামারী ও ব্যবসায়ীরা যাতে পশু হাটগুলোতে তাদের পশু বিক্রি করতে পারে তার জন্য প্রশাসনকে সাথে নিয়ে কাজ করছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads