• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

অগ্নিনির্বাপণ ত্রুটিতে মরছে শ্রমিক

হাজারো কারখানায় নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা

  • ইমরান আলী
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০২১

রাজধানীর অদূরে রূপগঞ্জের সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছে ৫২ শ্রমিক। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, বিপুল দাহ্যপদার্থ ও শ্রমিকদের বের হওয়ার সিঁড়ি বন্ধ থাকাই এতো মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বৃহস্পতিবারের এ আগুন শনিবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।

সেজান জুসের এ কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের পরিমাণ ৩৫ হাজার বর্গফুট। সাত তলা এ কারখানায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করত। করোনাকালে একেবারে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় অবাক করা বিষয় হলো বিশাল এ কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এমনকি ভবন তৈরিতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমতি ছিল না। যার কারণে আগুনে মর্মান্তিকভাবে পুড়ে মারা যায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক। শুধু রূপগঞ্জের সেজান জুসের কারখানাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় কারখানায় প্রায়ই ঘটছে আগুনের ঘটনা, মারা যাচ্ছে শ্রমিক। পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রতি বছরেই কোনো না কোনো কারখানায় শ্রমজীবী মানুষ প্রাণ হারান। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই গাজীপুরের কাশিমপুরে মাল্টিফ্যাবস গার্মেন্টে বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ জন শ্রমিক নিহত হন। ওই সময়ের বয়লার বিস্ফোরণ তদন্ত কমিটির জানিয়েছিল মেয়াদোত্তীর্ণ বয়লার ব্যবহারের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।

২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল দিনাজপুরের যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত হয় ১৮ হন শ্রমিক। ২০১৬ সালে ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গির ট্যাম্পকো নামে সিগারেটের ফয়েল তৈরির কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫০ জন শ্রমিক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণও ছিল কারখানাটির বয়লার বিস্ফোরণ। ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবরে গাজীপুরের শ্রীপুরে পলমল শিল্প গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা আসওয়াদ কম্পোজিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে আর এই অগ্নিকাণ্ডে আবার জীবন্ত দগ্ধ হয় গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এই দুর্ঘটনার কারণও বয়লার বিস্ফোরণ।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারায় ১১২৯ জন এবং আহত হয় ২৫০০ বেশি আর নিখোঁজ ছিল ৯৯৬ জন। এরা সবাই পোশাক শিল্পের শ্রমিক। সাভারের আশুলিয়ায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশন নামে এক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন পোশাক শিল্প শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। জীবনের তরে পঙ্গুত্ববরণ করেন অর্ধ শতাধিক। আহত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ২০০ জন। ১৯৯০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুরে সারাকা গার্মেন্টে আগুনে পুড়ে মারা যায় ৩০ জন শ্রমিক। ১৯৯০ সালের আগস্টে গ্লোব নিটিং-এ আগুনে পড়ে মারা যায় ১২ জন শ্রমিক।

২০০০ সালের নভেম্বর মাসে ২৫ নভেম্বর নরসিংদীর চৌধুরী নিটওয়্যারে আগুন লেগে মারা যায় ৫০ জন শ্রমিক। ২০০১ সালে ৮ আগস্ট মিকো সুয়েটারে আগুন লাগার পর পদদলিত হয়ে মারা যায় ২৪ জন শ্রমিক। ২০০০ সালে কাফরুলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ২৫ জন শ্রমিক। ২০০৪ সালের ৩ মে মিসকো সুপার মার্কেটে আগুন লেগে মারা যায় ৯ জন শ্রমিক। ২০০০ সালের নরসিংদীর শিবপুরে এক গার্মেন্টে আগুন লাগার পর মারা যান ৪৮ জন শ্রমিক। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের এক পোশাক তৈরি কারাখানায় আগুন লেগে মারা যায় ২২ জন শ্রমিক।

২০০৬ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি কেটিএস কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ৯১ জন শ্রমিক। ২০০৬ সালে গাজীপুরের যমুনা স্পিনিং মিলে আগুন লাগায় মারা যায় ছয়জন শ্রমিক। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে সায়েম ফ্যাশনে আগুন লেগে মারা যায় ৩ জন শ্রমিক। ২০১০ সালে গাজীপুরের গরিব অ্যান্ড গরিব সুয়েটার ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মারা যান ২১ জন শ্রমিক। ২০০৬ সালে ১৪ ডিসেম্বর আশুলিয়ায় হামীম গ্রুপের অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ৩০ জন শ্রমিক। আগুনে পুরে আর ভবন ধসে গত দুই দশকে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হয়ে ও জীবনের তরে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে প্রায় হাজার খানেক কর্মজীবী মানুষকে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, শিল্পাঞ্চল সমৃদ্ধ গাজীপুরেই প্রতিবছর শতাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারমধ্যে পোশাক কারখানা, কেমিক্যাল কারখানা, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল মিল ও ঝুটের গুদামও রয়েছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত কারখানাগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিদর্শনের কথা থাকলেও সময়মতো তা করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গাজীপুরে ছোটবড় প্রায় দুই হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। জেলায় প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ কারখানায় অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর থাকলেও এখনো বাকি রয়েছে ২০ ভাগ কারখানা। কারখানা ও ভবনগুলোর কোটি কোটি টাকার সমপত্তির পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিকরা রয়েছেন মারাত্মক অগ্নিঝুঁকির মধ্যে। গাজীপুরের প্রায় দুই হাজার পোশাক কারখানা ও বহুতল ভবনের কমপক্ষে দুই শতাধিক কারখানাই আছে অগ্নিঝুঁকিতে। সম্প্রতি গাজীপুর, টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার নড়েচড়ে উঠেছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ। তাদের পক্ষ থেকে অগ্নিঝুঁকি কমাতে এবং ত্রুটিপূর্ণ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করছেন। তাছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থান, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামেও অন্তত ৮শ-র বেশি কারখানা আছে চরম ঝুঁকিতে। এই নিয়ে গতকাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও পুলিশ সদর দপ্তর একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে  সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, যেসব কারখানায় অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণের সরঞ্জাম নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব কারাখানায় সরঞ্জামাদি নেই ওইসব কারখানা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এই বিষয়ে আমরা কঠোর। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকাসহ সারা দেশে ঝুঁকিতে আছে কয়েক হাজার কলকারখানা। সেখানে নেই কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নেই পর্যাপ্ত সিঁড়ি। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওইসব কারখানাতে নেই কোনো নজরদারি। তবে দেশের কোথাও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। একের পর এক গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। হইচই চলে কয়েক সপ্তাহ। এরপর থেমে যায় সবকিছু। কারখানার অনেক মালিক ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ও নেতা হওয়ায় তারা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিয়ে অবহিত করেছে—অগ্নিঝুঁকিতে থাকা সহস্রাধিক কারখানার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার এলাকায় বেশি। এখনই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এদিকে, কলকারখানাগুলোতে যাতে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে সে জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। এমনকি সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারও করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, যেসব কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই সেগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারখানাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। এই নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কাজ করছে। তাছাড়া রাজউক ও সিটি করপোরেশনও কাজ করছে। একই কথা বলছেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যে কোনো কারখানার অনুমোদন ও অগ্নিনির্বাপণের সরঞ্জামাদি আছে কি না তা মনিটরিং করার দায়িত্ব রাজউক, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসের। আমরা শুধু শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করি। তারপরও আমরা কারখানাগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর নতুন করে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের যন্ত্রপাতি নেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাতে এই ধরনের অঘটন না ঘটে সেদিকে নজর দিচ্ছি।

কারখানার শ্রমিকরা জানায়, তাদের কারখানায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। পানির পাম্প, গ্যাস মাস্কসহ ডিটেক্টর, আলাদা বহির্গমন পথ, ভবনের উপরে ও নিচে সংরক্ষিত পানির ব্যবস্থা, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনেক প্রতিষ্ঠানেই রাখা হয়। কোথাও কোথাও লোক দেখানো দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝোলানো থাকলেও এসবের কোনো কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শ্রমিকদের আগুনের মহড়া দেওয়াসহ এ সম্পর্কে কোনো সচেতনতার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় না। এই অবস্থায় মনে আগুনের ভয়ভীতি নিয়েও জীবনের তাগিদে, সংসারের প্রয়োজনে নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করছেন শ্রমিকরা।

গত বছর গাজীপুরে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগার পর মাঠে নামে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগ। তারা তখন ভোগড়া এলাকার ওয়াসিফ নিট কমেপাজিট লিমিটেড, হাবিবুল্লাহ ভবনের মে ফ্যাশন লিমিটেড ও পেয়ারা বাগান এলাকার সাসটেক্স বিডি লি. কারখানায় এবং চান্দনা চৌরাস্তার  শাপলা ম্যানশন ও রহমান শপিংমলে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। এরপরও সেসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তেমন পাত্তা না দিয়ে বরং অধিকাংশ ব্যানারই খুলে বা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনাও অনেক কারখানা মানতে চায় না। যদিও মালিকপক্ষ বলছেন, তারা অগ্নিনিরাপত্তায় নেবেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নেওয়াও আছে কিছু ব্যবস্থা। আবার নানা ধরনের জটিলতায় নিতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, কলকারখানাগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক রয়েছে। ইন্সপেক্টররা নিয়মিত সেগুলো পরিদর্শন করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে গাজীপুরে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে করাখানা মালিকগণ। তবে অনেক কারখানা ফায়ার লাইসেন্স নেওয়ার পর ফায়ার সেফটির দিকে বেশি নজর দেয় না। অনেক ভবন মালিকেরা আইন মেনে ভবন তৈরি করেননি। যেগুলো অগ্নিআইন না মেনে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো তৈরি করা হয়েছে। বারবার চিঠি দিয়েও তাদের সাড়া পাচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাগণ। করোনাকালে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সনদ নবায়ন করতে পারেনি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলোর প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করতে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কথা শুনছে না ভবন মালিকরা। এমনকি একাধিক ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার ঝুলিয়েও ভবন মালিকদের সচেতন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের পর ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিঝুঁকি নেই এমন ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেক ভবন মালিকই তা করছেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads