• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
টুংটাং শব্দ নেই সিরাজদিখান কামার পল্লীতে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

টুংটাং শব্দ নেই সিরাজদিখান কামার পল্লীতে

  • সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জুলাই ২০২১

কদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে কামারদের দম ফেলবার ফুসরত থাকতো না বিগত কোরবানির ঈদগুলোতে। দিন-রাত কামারশালায় টুংটাং শব্দ লেগেই থাকতো। কিন্তু চলমান করোনার মহামারী এবং লকডাউনে এবার সিরাজদিখান উপজেলায় নেই কামারদের ব্যস্ততা।বিভিন্ন বাজার হাটে বন্ধ বেশির ভাগ কামারশালা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো ব্যস্ততা নেই কামারদের। লকডাউনে কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও নেই কাজ। ঈদকে ঘিরে নেই তাদের বাড়তি প্রস্তুতি। কামারশালায় সহযোগীদের নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় দিনভর বসে থাকলেও কাক্সিক্ষত বিক্রি নেই।তবে দেখা গেছে পাড়ায় মহল্লার আনাচকানাচে অল্পস্বল্প ভ্রাম্যমাণ কামারদের কাজের চিত্র।

স্থানীয়দের সূত্রমতে জানা যায়, প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় কোরবানির গবাদিপশুর গোশত কাটার জন্য প্রচুর দা, চাপাতি, কুড়াল ও ছুরি প্রয়োজন হয়। এসব তৈরি করতে কামাররা বছরের এই সময় থাকেন খুব ব্যস্ত। অথচ এবার মহামারী করোনা ও লকডাউনের কারণে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে আছে। এ কারণে কোরবানির গরু ছাগলের গোশত কাটার জন্য তারা এসব উপকরণ কিনতে কামারপাড়ায় আসছে না।তাছাড়া লকডাউন ও করোনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনো জমে ওঠেনি একসময়ের জমজমাট কামারপাড়াগুলো।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান বালুচর বাজার, তালতলা, নিমতলা, রাজানগর, শেখরনগর, ইছাপুরাসহ অন্যান্য বাজারে কামাররা অলস বসে সময় পার করছে। নেই আগের মতো তাদের ব্যস্ততা। অতীতে ঈদে তাদের দম ফেলার সময় থাকতো না। কিন্তু এবারের চিত্রটা স¤পূর্ণ ভিন্ন। কামার পল্লীতে নেই তেমন সাড়া শব্দ। সকল ব্যবসায়ীরা যেন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে সময় পার করছে।

জামাল পুরের কামার থাকেন কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে সে তার দলবল নিয়ে প্রতিবছর উপজেলা বালুচরের ভিবিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়ে বসেন।কামার তাল চান বলেন,আগে এসব
এলাকায় এলে পানি খাওয়ার সময় পেতাম না কিন্ত এখন কাজকর্ম নেই বললেই চলে। শুন্তাছি লকডাউন খুলে দেবে হয়তো তখন কাজ বাড়বে।নিমতলার কামার মোহন মিয়া বলেন, বিক্রি একদমই নেই। অন্য যেকোনো কোরবানির ঈদে দা, ছুরি, বটি তৈরি, শানকাজে ব্যস্ত সময় পার করতাম। লোকজন আগের মতো আর দা, ছুরি, বটি নিয়ে আসে না এবং অর্ডারও দেয় না। উপজেলা সন্তোষ পাড়ায় কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, প্রতি বছর এ ঈদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করেন। বছরের সবচেয়ে বেশি আয় হয় এই ঈদেই। এখন সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads