• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
খোলা মাঠে ঈদ জামাত, নিষেধ কোলাকুলি

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

খোলা মাঠে ঈদ জামাত, নিষেধ কোলাকুলি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০২১

সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে। জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন। তবে নামাজ শেষে কোলাকুলি করা যাবে না। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানির ঈদ ও পশুর হাট বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঈদের নামাজ ময়দানে আদায়ে ১২ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নির্দেশনার মধ্যে আছে : ১. করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে উপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে স্থানীয় প্রশাসন। ২. মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। ৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। ৪. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ৫. মসজিদ বা ঈদগাহ মাঠের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। ৬. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। ৮. শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ৯. সবার সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ১০. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। ১১. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং সকলের অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ বা ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads