• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সংগৃহীদ ছবি

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক ও ক্যান্সার সার্জন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদের নামে দুয়েকটি গণমাধ্যমের প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্যারের চিকিৎসার ব্যাপারে মনগড়া অভিযোগ করা হয়েছে - তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। এখানে তাকে (ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ) জড়িয়ে মিথ্যার কারসাজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মাধ্যমে অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও তার অনুসারীরা প্রোভিসি পদ দখলের অশুভ পায়তারা করছেন ।

এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রশাসন পদে সরকার সম্প্রতি দেশবরেণ্য জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক ও ক্যান্সার সার্জন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন। বিগত ২৯ মার্চ ২০২১ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজন্ম আওয়ামী আদর্শের সৈনিক বিএমএ ও স্বাচিপ এর নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ এর এই নিয়োগ বর্তমান প্রশাসনের কাজকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেই সকলের আশা। কিন্তু বিগত এক যুগে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনত করা সত্ত্বেও কুচক্রীদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গত চার মাসের চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও কোভিড-১৯ চিকিৎসা ও প্রতিরোধে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্যও একদল কুচক্রীমহল সদা তৎপর। তাদের সর্বশেষ লক্ষ্য হচ্ছে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রশাসন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ। অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ছাত্রজীবনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ১৯৮৪-৮৫ সনে স্বৈরাচার আমলে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ( স্বাচিপ) প্রতিষ্ঠাতা ক্রীড়া সম্পাদক ও বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৩ সনে স্বাচিপ এর নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এবং বিএমএ জার্নালের প্রাক্তন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করা ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি-জামাতের সময়ে বিভিন্ন প্রতিকূল সময়েও নিজ কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হন নাই।

প্রতিবাদে বলা হয়, প্রোভিসি প্রশাসন পদের জন্য বিএসএমএমইউ অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী একজন প্রার্থী ছিলেন। তিনি অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল আর্সলান সাহেবের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবির চালান বলে জানা যায়। এই অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল আর্সলানের পিতা বিগত ১৯৯৩ সনে জামাত বিএনপি সরকারের একজন এমপি ছিলেন। অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান নিজেও বিভিন্ন সময়ে জামাত বিএনপি ও ছাত্র শিবিরের মত দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী লোকজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে ছিলেন ও করে চলেছেন। তার অনুসারী লোকদের হাত ধরেই বিগত প্রশাসন কুখ্যাত মোনায়েম খানের পরিবারের লোকজনকে ( ডা. রবার্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দিয়েছিলেন। তিনি সম্প্রতি সচিব ও পুলিশদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচার করেছেন। তিনি ও তার অনুসারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads