• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

পরী মণি ও রাজকে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ, মামলার প্রস্তুতি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ আগস্ট ২০২১

সময়ের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণিকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাব। তার বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি, আইস ((ক্রিস্টাল মেথ)) ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।

এ ছাড়া পরী মণির বাসায় অভিযান শেষে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় রাজের বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিয়ার ও সিসার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

র‍্যাব সদর দপ্তর ও র‍্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি বলছে, পরী মণি ও রাজকে র‍্যাব সদর দপ্তরে নেওয়ার পর রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাব কর্মকর্তারা। মাদকসহ তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্নজনকে ব্ল্যাকমেইলেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

সূত্রটি বলছে, পরী মণি ও রাজের বিরুদ্ধে ওঠা সব ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে র‍্যাব। যত ধরনের অভিযোগ আছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হবে। সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

রাজধানীর বনানীতে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরী মণির বাসায় অভিযান শুরু করে র‍্যাব। প্রথমে পরী মণি বাসায় র‍্যাবের সদস্যদের প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না। অভিযান শুরুর ৩০ মিনিট পর ওই বাসার ভেতরে ঢোকেন র‍্যাব সদস্যেরা। র‍্যাবের দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযান শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরী মণিসহ তাঁর গাড়ি চালক ও ওই বাসার দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে। রাত সোয়া ৮টার দিকে র‌্যাবের সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত একটি হাইস গাড়িতে করে পরী মণিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পরী মণি একটি চেকশার্ট পরা ছিলেন।

এদিকে, পরী মণির দেওয়া তথ্যে গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে র‍্যাবের একটি দল বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে রাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে দুই সহযোগীসহ বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব। রাজকেও রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁদের দুজনের বাসায় মাদক পাওয়া ও তাঁদের বিরুদ্ধে উঠা যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাদক উদ্ধারসহ অন্যান্য অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। যদি অন্যান্য অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।

গতকাল বুধবার র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরী মণির বাসায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) নানা ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি, ইয়াবা এবং আইস উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় র‍্যাব সদর দপ্তরে।’

গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, ‘পরী মণির বাসায় থরে থরে মদ সাজানো ছিল। হরেক রকম বিদেশি মদের বোতল ছিল সেখানে। এসব মদের বোতল তাঁর ড্রাইং রুমে ছিল কিছু। বেড রুমে রাখা ছিল। এমনকী বাথরুমেও মদ রাখা ছিল। এলএসডি ও আইসও পাওয়া গেছে বাসায়।’

‘পরী মণির বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসও পাওয়া গেছে। এ ধরনের মাদক সাধারণত সমাজের উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরা সেবন করেন। অভিযানের সময় পরী আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ডের মাদক পছন্দ করেন’, যোগ করেন অভিযানে থাকা ওই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads