দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের পথে। একদিনে ৫৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি গত ১৬ মের পর সবচেয়ে কম। আর এ সময়ে আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। আর শনাক্ত হার আছে ৫ শতাংশের নিচেই।এ নিয়ে দেশে টানা ১১ দিন পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে পাওয়া গেল।
আজ শনিবার বিকেলে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৫ জনের।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ২৮৩টি। শনাক্ত হার ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে টানা ১১ দিন পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে পাওয়া গেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো দেশে করোনা শনাক্ত হার টানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৫, নারী ৯ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫, ষাটোর্ধ্ব ৯ ও সত্তরোর্ধ্ব ৬ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৪, খুলনা ১, সিলেট ১, বরিশাল ১, রংপুরে ২ জন ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৪১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৭ হাজার ২৪৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।