‘আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে, কোনো ধরনের অন্যায় ও অবিচার থাকবে না, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে।’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময়ও তিনি শেখ রাসেল দিবসের-২০২১ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের মতো আর কেউ যেন কোনো দিন এমন নির্মমতার শিকার না হয় সেই কামনা করি। এ সময় শিশুরা যাতে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। শহীদ শেখ রাসেল আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। দেশের সব শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। দেশ পরিচালনাসহ নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে তারা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করবে। গড়ে তুলবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে দেশে, কোনো ধরনের অন্যায় ও অবিচার থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে, সেটাই আমরা চাই। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, রাসেলের মতো আর যেন কেউ কোনো দিন এমন নির্মমতার শিকার না হয়। যেন পরিবারের সবার মৃত্যু দেখতে না হয় কোন শিশুকে। সব শিশু যেন একটা নিরাপদ শৈশব পায়, বেড়ে ওঠার ভরসা পায়, নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। আপনারা, আমাদের ছোট রাসেল সোনার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।
