• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

হিউম্যান হলার-লেগুনার ভাড়া নির্ধারণের দাবি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২১

চলমান ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিকশার পৃথক পৃথক ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিতে বলা হয়, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার শুধুমাত্র ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ালেও এ ভাড়া বৃদ্ধির আদেশ জারির সাথে সাথে সিএনজিচালিত, ডিজেলচালিত, পেট্রোলচালিত, অকটেনচালিত সব প্রকার বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহনে অতিরিক্ত মাত্রায় বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সংগঠনের গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্য ও সারাদেশে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানির সামগ্রিক দিক পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেয়েছে যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশব্যাপী চলাচলরত সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু এবং সিএনজি অটোরিকশায় অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী সব প্রকার গণপরিবহনের ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও সরকার এসব পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ না করায় যে যার ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় যাত্রীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছেন। এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ইতোমধ্যে গত প্রায় এক দশক ধরে এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে আবেদন করা হলেও সরকার ভাড়া নির্ধারণ করেনি। গণমাধ্যমে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ফাইল একটু এগোয় আবার গণমাধ্যম নীরব হলে ফাইল ডিপ ফ্রিজে ঢুকে পড়ে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এছাড়া যাত্রী প্রতিনিধিবিহীন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের কারণে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণের ফলে যাত্রীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের আগে গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুনর্গঠন করে মালিক-শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানায় সংগঠনটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads