• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
 করোনা শনাক্তের হার নামল ১ শতাংশের নিচে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

করোনা শনাক্তের হার নামল ১ শতাংশের নিচে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১২২ জন। এদিকে একদিনে ১৩ হাজার ৩১০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। ফলে করোনা শনাক্তের হার নামল ১ শতাংশের নিচে। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । এতে বলা হয়, দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪৭ জনের। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৭২ জন।

গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৩ জন। এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ; মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত একদিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। খুলনা বিভাগে দুইজন, ঢাকা ও বরিশালে একজন করে মারা গেছেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগে এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি পাঁচ বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি এক দিনে।

গত একদিনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের তিনজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৭ কোটি ৩৬ লাখের বেশি রোগী।

এদিকে, প্রায় দুই বছর ধরে বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। তবে নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে আবারও শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করেছে। করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে এখন বুস্টার ডোজের দিকে নজর দিচ্ছে বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতে আশার খবর শোনালেন ফাইজার ভ্যাকসিনের গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট ন্যানেট কোসেরো। তিনি বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই করোনা আর মহামারি পর্যায়ে থাকবে না। এটি একটি স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে। অনেকটা অন্যান্য বিদ্যমান ফ্লুর মতোই। গতকাল সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads