ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য যাত্রীদেরই দায়ী করেছেন লঞ্চের মালিক মো. হাম জামাল।
আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।
মো. হাম জামাল দাবি করেন, যাত্রীদের থেকে আগুন লেগেছে। যার সূত্রপাত দোতলা থেকে হয়েছে। এরপর তিন তলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেশি হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। যাত্রীদের দাবি ইঞ্জিনেই প্রথমে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত আরো নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে কোস্টগার্ড ছয়জন ও ফায়ারসার্ভিস সদস্যরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।
তবে ইঞ্জিন থেকে আগুন লাগার বিষয় নাকচ করে দিয়ে হাম জামাল বলেন, মাসখানেক আগে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর ঢাকা-বরগুনা রুমে মাত্র চারটি ট্রিপ দেওয়া হয়েছে। লঞ্চে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতির মেয়াদও আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আছে বলে দাবি করেন তিনি।