• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮

জাতীয়

টিকিট কেটে নগর পরিবহনে চড়লেন ঢাকার দুই মেয়র

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

রাজধানীতে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম একটি বাসে (ট্রান্সসিলভা) চড়ে যাত্রা শুরু করেন।

আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের বিআরটিসি ডিপোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাস সেবার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ থেকেই ই-টিকেট সুবিধাও পাচ্ছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন পয়েন্টে এরিমধ্যে তৈরি হয়েছে যাত্রী ছাউনি। ঢাকার দুই মেয়র টিকিট কেটেই বাসে ওঠেন। প্রত্যেকে ভাড়া দেন ১১ টাকা করে।

প্রাথমিক পরিকল্পনায় রাজধানীর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত একটি রুটে ১৫৫টি বাস চলার কথা ছিল। তবে এখন ট্রান্স সিলভা কোম্পানির ২০টি এবং বিআরটিসির ৩০টি দোতলা বাস নিয়ে চালু হয়েছে ‘ঢাকা নগর পরিবহনের’ যাত্রা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুতই এই বহরে আরো ৫০টি বাস যুক্ত করা হবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বাসগুলো যাত্রী পরিবহন করবে। সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘পিক টাইম’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময় ৫ মিনিট পর পর যাত্রী ছাউনিতে বাস এসে দাঁড়াবে। অন্য সময় আসবে প্রতি ১০ মিনিট পর পর। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবে না।

ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পুরো পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮ কিলোমিটার। শুরুতে প্রতি কিলোমিটারে ২.১৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হবে। এসব বাসের শ্রমিকদের নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র থাকবে। একই সঙ্গে বাসের মালিকরা শ্রমিকদের নিয়োগপত্র নিবেন।

চালকরা মাসিক বেতনে চাকরি করবেন। তবে এখনো চালকদের বেতন নির্ধারণ করা হয়নি। আপাতত প্রথম দিন থেকে তাদের এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বেতন নির্ধারণের পর দৈনিক নির্দিষ্ট টাকার বাইরে মাসিক বেতন পাবেন।

পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রথম দিন থেকেই যেসব বাসের রুট পারমিট নেই সেগুলো চলাচল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads