• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কোনো একদিন শতভাগ পাস করবে : শিক্ষামন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কোনো একদিন শতভাগ পাস করবে : শিক্ষামন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করেছে। ভালো রেজাল্ট করছে খারাপ কী? এমন একদিন আসবে সেদিন শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করবে।

গতকাল রোববার প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, পরীক্ষা কবে হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এটি অবশ্যই অতিমারির গতি-প্রকৃতির ওপর নির্ভর করবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। সেটা কতদিনে করাতে পারবো তার ওপর নির্ভর করবে। আমরা আশা করছি বছরের মাঝামাঝিতে হয়তো নিতে (এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা) পারবো।

শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদিও আমরা এখনো জিডিপির শতকরা ৩ ভাগের কম বিনিয়োগ করছি। কিন্তু টাকার অঙ্কের দিকে তাকালে, শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে যে জাতীয় বাজেট দিয়েছিলেন বর্তমানে শিক্ষার বাজেটই তার চেয়ে বেশি। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনকে অনুসরণ করেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা সবাই কারিগরি শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং তার মাধ্যমেই সেসব দেশ সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই। কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করার জন্য কর্মমুখী শিক্ষা জরুরি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করতে হবে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিয়োজিত হতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে সকল ধরনের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকবে এবং পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা দিবে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিজ্ঞান ও প্রজুক্তির ব্যবহারে উদ্ভাবনে দক্ষ হয়ে উঠবে আমাদের শিক্ষার্থীরা, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং এর সকল সম্ভাবনাকে সফলভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আমাদের ২০৪১, ২১০০ সালের সকল যে পরিকল্পনা এবং রূপকল্প রয়েছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড যে আমাদের অর্জন করতে হবে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সফল অংশীদার হতে গেলে এর মূল হাতিয়ার শিক্ষা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads