• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

ছিনতাই-চুরির মামলা না নিলে থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিবি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০২২

ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা না নিলে বা মামলা নিতে গড়িমসি করলে অভিযোগ জানাতে বলেছে ডিবি। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় ডিবি। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম এ কথা বলেন। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ডিএমপির গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গত ৬ ও ৮ এপ্রিল রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছুরি, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।

ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে।

ডিএমপি কমিশনারের দিক-নির্দেশনায় রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগ বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ২৭ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্য। গ্রেপ্তার ২৭ জনের বিরুদ্ধেই চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করতেন। এরপর যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগ করতেন। পরে ওই যাত্রীকে অচেতন করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে যারা ছিচকে চোর-ছিনতাইকারী, তারা রাস্তায় মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads