• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

ঈদযাত্রায় যানজট ও ভোগান্তি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০২২

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। গতকাল বুধবার আগাম টিকিটে প্রথম দিনের ট্রেনযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হলো এবারের ঈদযাত্রা। আগামী কয়েকদিন দৈনিক প্রায় ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের ঈদের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। অন্যদিকে, রাজধানীর সব বাসটার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যাচ্ছে ঈদের বাস সার্ভিস। তবে বরাবরের মতো এবারের ঈদযাত্রায়ও যানজট ও ফেরি সংকটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। 

গতকালও কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে প্রথমদিনই শিডিউল বিপর্যয়ে  ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৬টায় যাওয়ার কথা থাকলে ছেড়েছে ৬টা ৫৫ মিনিটে। এরআগে ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টেশন ছাড়ার মধ্যদিয়ে ট্রেনে ঈদযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এছাড়া ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রিও শেষ হয়েছে গতকাল। এদিন দেওয়া হয় পহেলা মের টিকিট। তাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল।

অন্যদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে। সকাল থেকেই রাজধানী থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাখালী, গাবতলী, সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটেও বেড়েছে গাড়ির চাপ।

গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, যাত্রীর ভিড় না থাকায় টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে না। তবে অন্য সময়ের চেয়ে বাড়তি টাকায় দূরপাল্লার বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া হচ্ছে না বলে জানান তারা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে কুমিল্লার চান্দিনা পর্যন্ত অন্তত ৯ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকে এই রুটের চট্টগ্রামমুখী দুই লেনে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও বাস আটকে আছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে গতকার দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় ফেরির অপেক্ষায় অপেক্ষায় থাকে ৪ শতাধিক যানবাহন। এতে ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন হয়। এ সময় প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা লাইনে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আটকে থাকে। দুপুরের পর থেকে  ফেরি পারারের মাধ্যমে আস্তে আস্তে যানবাহন কিছুটা কমতে থাকে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঈদে বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঈদের আগে-পরের ১০ দিন পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের পরই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। গাড়িচালকরা অভিযোগ করে জানান, সাধারণ পণ্যবাহী গাড়িগুলো ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টার আগে ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা থেকে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ট্রাকের চাপ বেড়ে যায়। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। এখন যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-পথে ফেরি সংকট দেখা দেয়ায় ঈদে চাপ আরও বেড়ে গেছে। এদিকে, এ দুই নৌ-পথে ফেরি সংকট কাটাতে মঙ্গলবার ‘বেগম রোকেয়া’কে বহরে যুক্ত করা হয়। কিন্তু বুধবার ফের ফেরিটি নষ্ট হয়ে যায়। এতে ঘরমুখো মানুষ ঘাটে এসে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

জানা গেছে, এই দুই নৌ-পথে যেখানে কমবেশি ২০টি ফেরিতে পরাপার হতো, এখন সেখানে সাতটি ফেরিতে কাজ চালানো হচ্ছে। তাই অনেকেই বিড়ম্বনা কাটাতে পদ্মা পারি দিচ্ছেন লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে।

সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনের তুলনায় গতকাল অনেক বেশি মানুষ বাড়িমুখো। অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে সকাল সকাল ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ফেরির স্বল্পতায় তাদেরকে রোদ আর গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উপায় না দেখে, বেশি ভাড়া দিয়ে অনেকে লঞ্চ বা স্পিডবোটে করে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান বলেন, ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। এই নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।

স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। আর গতকাল থেকে লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত। আগে রাত ৮টা পর্যন্ত চললেও ঈদের কারণে দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

ঘাটে অপেক্ষারত এক যাত্রী বলেন, সকাল ৬টায় ঘাটে এসেছি। প্রচণ্ড গরমে এখনো বসে আছি। ফেরির সংখ্যা বেশি থাকলে এভাবে গরমে বসে থাকতে হতো না। সুলতানা এক নারী জানান, সাভার থেকে ভোর ৫টায় রওনা হয়েছেন তিনি। ঘাটে এসে এখনও ফেরির সিরিয়াল পাননি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সবাই ঈদে বাড়ি যাবে, তাই চাপ একটু বেশি। আমাদের পক্ষ থেকে চাপ কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে গত দুদিনের তুলনায় গতাকাল যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের চাপ রয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে ঘাটপারের অপেক্ষায় দুই শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি আর ২০-৩০টি যাত্রীবাহী বাস দেখা গেছে।  তাছাড়া বুধবার সকাল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি থাকে। এ সারিতে শতাধিক ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকে। যানবাহন পারাপারের জন্য গতকাল ১৯টি ফেরি চলাচল করে।

এদিকে, ফেরির যাত্রীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে জানান, তাদের কাছ থেকে ২৫ টাকার টিকিট ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। ভোর থেকেই সব যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে এর সত্যতাও মিলেছে। পাটুরিয়ার ৩নং ঘাটে প্রায় সব যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ টাকার টিকিট হাতে ধরিয়ে দিয়ে নেওয়া হয় ৩০ টাকা করে। ৩নং ঘাটে দায়িত্বরত ভাড়া আদায়কারীদের বিষয়টি জানালে অতিরিক্ত নেয়া ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দেয়া হয়। পরবর্তীতে আবার যথারীতি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চিত্র দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, মেরামতে থাকা দুটি ফেরি ঠিক হলে যেকোনো সময় যুক্ত হবে নৌবহরে অর্থাৎ মোট ২১ টি ফেরি দিয়ে ঈদযাত্রায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হবে। আর ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি দেখেন ইজারাদার। তবুও তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান জানান, ইজারাদারদের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগেই তাদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস। এ জন্য লঞ্চ মালিকরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে বাড়ানো হয়েছে বেসরকারি লঞ্চের ভাড়া। শ্রেণিভেদে ভাড়া বেড়েছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। নিরুপায় হয়ে মানুষ বাড়তি ভাড়া গুনে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে টিকিট সংগ্রহ করেন। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের নভেম্বরেও ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।

ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে একাধিক লঞ্চ মালিক অবশ্য বলছেন তার ভিন্ন কথা বছরের অন্যান্য সময় প্রতিযোগিতার কারণে তারা অনেক কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করেন। ঈদের সময় লঞ্চের বাড়তি ব্যয় থাকে। এসব মিটানোর জন্যই কিছুটা বর্ধিত ভাড়া নেওয়া হয়। এখন যেটুকু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তাও সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার মধ্যেই আছে। ঈদে ঘরে ফেরা এবং কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ কমলেই আবার পূর্বের ভাড়ায় তারা যাত্রী পরিবহন শুরু করবেন।

রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস কাউন্টারগুলোতে গতকাল পর্যাপ্ত যাত্রী চাপ ছিল না। সে কারণে বিলম্বে ছাড়তে হয়েছে প্রতিটি বাস। যাত্রীর আশায় দেরী করলেও আশায় গুড়েবালি। বাধ্য হয়ে সিট খালি রেখেই বাস ছেড়ে দিতে হয়। ঈদের আগে এমন যাত্রী সংকট পরিস্থিতি গত ৪০ বছরেও হয়নি বলে দাবি করেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, ভোর থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে গাবতলীতে আসতে শুরু করেন অনেকে। তাদের কেউ একা, আবার কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসছেন। যাত্রীর ভিড় না থাকায় টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে না। তবে অন্য সময়ের চেয়ে বাড়তি টাকায় দূরপাল্লার বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।

দক্ষিণ বঙ্গগামী দ্রুতি পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মজনু বলেন, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, এরপরও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সিট খালি রেখে বাস ছাড়তে হচ্ছে। দেরী করে বাস ছেড়েও ৫-১০টি সিট খালি থাকছে। তবে বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে শনিবার পর্যন্ত তাদের সব বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে কুমিল্লা প্রতিনিধি জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে কুমিল্লার চান্দিনা পর্যন্ত অন্তত ৯ কিলোমিটার এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ রুটের চট্টগ্রাম মুখী দুই লেনে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও বাস আটকে থাকে। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে মহাসড়কের দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে সংস্কার কাজ করায় ও যানবাহনের চাপ থাকায় যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানায়,  ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট থাকলেও তীব্র হয়নি। ঈদকে কেন্দ্র করে গত দুই দিন এ মহাসড়কে যাত্রীবাহী গণপরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে ঘরমুখো মানুষও বাড়ি ফেরা শুরু করেছে। তবে, মহাসড়কে গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও সহনশীল পর্যায়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ফোর লেনের তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবহন চলাচলে যানজটের তীব্রতা লক্ষ্য করা যায়নি।

অপরদিকে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলসহ ২৬টি জেলার মানুষ চলাচল করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে। ফলে ঈদে ব্যাপক পরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায়  কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads