বিভিন্ন সরকারি অফিসে প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার পদ শূন্য রয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শূন্য পদ পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
আজ রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীমের (আনার) অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, পাশাপাশি বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৮৫৪টি পদ শূন্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৮, ৩৯ ও ৪০তম বিসিএস’র মাধ্যমে যথাক্রমে ২০২৪, ৪৭৯২ ও ১৯০৩ মোট ৮ হাজার ৭১৯টি বিভিন্ন ক্যাডারের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৭তম বিসিএস’র মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের ১ হাজার ২৮৯টি পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ পাঠিয়েছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের প্রাক-চাকরি বৃত্তান্ত যাচাই করার জন্য যথাযথ এজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রাক-চাকরি বৃত্তান্ত যাচাই প্রতিবেদন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সরকারি অফিসসমূহে শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং এর অধীন সংস্থাসমূহের চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে ১০-১২ গ্রেডের (২য় শ্রেণি) শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ১৩-২০ গ্রেডের (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি) পদে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দফতর বা সংস্থা জনবল নিয়োগ করে থাকে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে ধারাবাহিকভাবে সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পদ সৃজনে সম্মতি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় বা বিভাগ স্ব স্ব নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ওই সৃজিত পদে জনবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, আদালতে মামলা থাকায়, নিয়োগবিধি কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায় না।