সংসদ সদস্যদের ভবনের ফ্ল্যাটে এমপি বা তার পরিবারের সদস্য নন এমন কেউ বসবাস করছেন এমন প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ করেছে সংসদ কমিটি। গতকাল সোমবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে হওয়া বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে জাতীয় সংসদের বন্ধ ৭ নম্বর গেট (বিমান মোড়) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ গেট দিয়ে শুধুমাত্র সংসদ সদস্য, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তিদের চলাচল করতে পারবে। এছাড়া বৈঠকে মহিলা এমপিদের জন্য অফিস কক্ষ বরাদ্দ, নাখালপাড়ায় ১, ২ ও ৩ নম্বর সংসদ সদস্য ভবন এমপিদের জন্য রেখে ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং সংসদ সদস্য ভবনের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী ভিত্তিতে এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়।
সংসদ সদস্যদের নামে বরাদ্দ করা শেরেবাংলা নগরে অফিস কক্ষগুলোর তত্ত্বাবধান ও ভাড়া আদায়ের দায়িত্ব মেম্বারস ক্লাবের পরিবর্তে হোস্টেল শাখার কাছে হস্তান্তর, সংসদ সদস্য ভবনে একটি মসজিদ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বন্ধের সময়ে সংসদ সদস্য ভবনে পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রাখা, হুইপদের বাসভবন সংস্কার এবং সংসদের সব জায়গায় একই ধরনের বৈদুতিক বাল্ব লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।
এছাড়া বৈঠকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ায় সংসদ সদস্য ভবনের ফ্ল্যাট এবং শেরেবাংলা নগরে এমপি হোস্টেলের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে কমিটির সদস্য নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। সাব-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মো. আবু জাহির ও শওকত হাচানুর রহমান (রিমন)। দ্রুত সময়ে সরেজমিন ফ্ল্যাট পরিদর্শন করে একটি নিরাপত্তা রিপোর্ট উপস্থাপন করতে বলা হয়।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, মাহবুব আরা বেগম গিনি, মো. আবু জাহির, নূর মোহাম্মদ, মনজুর হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক ও শওকত হাচানুর রহমান (রিমন)। এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো. এনামুল হক, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও আব্দুস শহীদ।
