ভ্যাঁপসা গরম উপেক্ষা করে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে লক্ষাধিক মুসল্লী জুম’আতুল বিদা’র নামাজ আদায় করেছে।
শুক্রবার জুম’আতুল বিদা’আ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ মসজিদে নামাজ পড়তে আসে।বেলা ১১টার মধ্যেই বিশাল মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মসজিদে মানুষ নফল নামাজা ও কোরআন তেলাওয়াত করেন।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের মাঠ, আহমাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও ভবন, কওমী মাদ্রাসা ভবন, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, প্রাইম ব্যাংক ভবন, সাবেক পৌরসভার উপরে বিশাল জামায়াতের আয়োজন করা হয়। এসব ভবন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
দুপর ১টায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে শুরু করে পূর্ব বাজারস্থ বড় ব্রিজ পর্যন্ত মুসল্লীদের নামাজের কাতার ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে স যানবাহন চলা-চল বন্ধ হয়ে যায়। প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে মুসুল্লীগন, মাঠ ও মহাসড়কে নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ মুফতি আব্দুর রউফ।
মোনাজাতের সময় আমিন, আমিন ধ্বনীতে আকাশ-বাতাস মূখরিত হয়ে উঠে। এ সময় আল্লাহর দরবারে পানা’হ চেয়ে জুম’আতুল বিদা’র মোনাজাতে মুসুল্লীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
জুম’আতুল বিদা’র জামায়াতের প্রস্তুতি ও জুম’আতুল বিদা’র জামায়াত প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মোতাওয়াল্লী শিক্ষাবিদ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে বিশাল জামায়াতে নামাজ আদায় করেছে। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি না হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিারা সঠিকভাবে বিশাল জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পেরেছে।
তিনি বলেন অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার জুম’আতুল বিদা’র নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে অনেক বেশি। এতে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমআতুল বিদা নামাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা কাজ করেছেন যেমন উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা প্রশাসন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, রোটারী ক্লাব অব. হাজীগঞ্জ, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, ফায়ার সার্ভিস, জামিয়া আহমদীয়া কাওমী মাদ্রাসা, দারুল উলুম আহমাদীয়া কামিল মাদরাসা, আহমদ আলী ফাউন্ডেশন, সবুজ ডেকোরেটর, সুজন ডেকোরেটর, বিসমিল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বনফুল সংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশাল জামাত মসজিদ কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে আয়োজন করা কঠিন। সবার আন্তরিক সহযোগিতা না থাকলে জুমাতুল বিদাহ্ নামাজ শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে আদায় করা সম্ভব হতো না।
মসজিদের সহকারী মোতাওয়াল্লী প্রিন্স শাকিল আহমাদ বলেন, আল্লাহর অশেষ কৃপায় এলাকাবাসির সহযোগিতায় বিশাল জুময়াতুল বিদার জামাত খবুই শুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি আন্তরিকভাবে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এমন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
