• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ধর্ম

ইসলামের বিধান মেনে চলাই কর্তব্য

  • মাওলানা আহসানুল্লাহ
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হিজরি সালের প্রথম মাস। এই মাসের সম্মান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত। সুতরাং আমাদের উচিত হবে এই মাসকে যথাযথভাবে সম্মান করা। যারা এই মাসকে সম্মান করবে না তারা নিজেদের ওপর জুলুম করবে। মহররম মাসকে সম্মান করার অর্থ হলো এই মাসে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে যে নির্ধারিত আমল আছে সেগুলো পালন করা। আর আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে যে কাজগুলো করতে নিষেধ করা হয়েছে সেগুলো না করাই হচ্ছে এই মাসকে সম্মান করা। একটি হাদিসে এসেছে, রমজানের রোজার পর আল্লাহর নিকট সব থেকে প্রিয় রোজা হলো মহররম মাসের রোজা আর ফরজ নামাজগুলোর পরে আল্লাহর কাছে সব থেকে প্রিয় নামাজ হচ্ছে রাত্রের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ।

পবিত্র কোরআনের সুরা বনি ইসরাইলের ৭৮নং আয়াতে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, নামাজ কায়েম কর সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরে কোরআন পড়ারও ব্যবস্থা কর। কারণ ফজরের কোরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এ আয়াতে সংক্ষেপে মিরাজের সময় যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল তার সময়গুলো কীভাবে সংগঠিত ও বিন্যস্ত করা হবে তা বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটি নামাজ পড়ে নিতে হবে সূর্যোদয়ের আগে। আর বাকি চারটি নামাজ সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত পড়ে নিতে হবে। আল্লাহপাক আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এই দিন-রাতও তিনি সৃষ্টি করেছেন। দিন-রাত মিলে তিনি ২৪ ঘণ্টা সময় সৃষ্টি করেছেন। আমরা যদি এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, তাহলে আমাদের সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। এটা কখনোই বেশি সময় নয়।

আমাদের শরীর আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ নিয়ামত। আজ মেডিকেল সায়েন্স অনেক উন্নতি লাভ করেছে। তারপরও আল্লাহপাকের এই সৃষ্টির কতটুকু রহস্য তারা উদঘাটন করতে পেরেছে? আমাদের শরীরে যত জয়েন্ট আছে এগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিদিনই আমাদের শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন। আমাদের মনে হতে পারে, এটা হয়তো অনেক কঠিন কাজ? কিন্তু বিষয়টি তা নয়। আমরা যে আলহামদুলিল্লাহ বলি, আল্লাহু আকবার বলি, মানুষকে ভালো কাজ করতে বলি ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলি- এই সকল বিষয়ই হচ্ছে সেই শুকরিয়া। তবে রসুল (সা.) আমাদের একটি সহজ পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। প্রতিদিন যারা দুই রাকাত চাশতের নামাজ পড়বে, এই নামাজের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হয়ে যাবে। চাশতের নামাজ সকাল ৮টার পর থেকে ১১টা ৩০ বা  ১২টা পর্যন্ত পড়া যায়। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে ইসলামের সব বিধিবিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মাওলানা আহসানুল্লাহ

ইমাম ও খতিব গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads