• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ওয়েন পার্নেলের পরিবর্তনের কাহিনী

ছবি : ইন্টারনেট

ধর্ম

ওয়েন পার্নেলের পরিবর্তনের কাহিনী

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ওয়েন পার্নেল। বাঁহাতি এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার অতি সহজেই তার দূর্বার গতিতে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের ধরাশায়ী করে দিতে পারেন। অনেকেই তাকে তার খেলার ধরন দেখে চিনলেও অনেকেই হয়তো জানেন না যে তিনি ইসলামে পরিবর্তিত হয়েছেন। এ ঘটনার অন্তরালে যাওয়া যাক।

তার ক্যারিয়ার : ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ওয়ারিয়র্স ও কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের হয়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন ওয়েন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মাধ্যমে গোড়াপত্তন ঘটে ও পরবর্তীকালে পুনে ওয়ারিয়র্স দলে খেলেন। ২০১৪ সালের আইপিএল নিলামে তিনি পুনরায় ১ মিলিয়ন রুপির বিনিময়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন।

২০০৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষে খেলেন। এরপর ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ৮.৩৮ রান গড়ে ১৮ উইকেট লাভ করেছিলেন পার্নেল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষ আট রানের বিনিময়ে ৬ উইকেটসহ ৫৭ রানের সর্বোচ্চ স্কোর তোলেন।

ইসলামে পরিবর্তিত হওয়া : ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তিনি ইসলাম ধর্ম মেনে নিলেও তিনি জুনের ১০ তারিখে সবার সামনে এই কথাটি ঘোষণা দেন। তার নতুন নাম হিসেবে তিনি ‘ওয়ালিড’ নামটি বেছে নিয়েছিলেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময় তার এই ঘোষণা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল। অনেকের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা এবং ইমরান তাহিরই তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছেন।

তবে এই ধারণাটি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও আমি আমার নাম ওয়ালিড ঠিক করেছি, আমি চাই সবাই আমাকে আমার আগের নামেই ডাকুক। আমি আমার দলের সবকিছুতে সবসময় এগিয়ে থাকব। আমার মূল লক্ষ্য থাকবে দলের জন্য সেরাটা দেওয়া। যেহেতু রোজার সময় চলে আসছে, আমি চাই সবাই আমার এই সিদ্ধান্তটি ইতিবাচকভাবে নিক। আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার এবং এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলের কোনো সদস্য আমাকে উদ্বুদ্ধ করেনি। আমি নিজেই আমার জন্য ভালোটা বেছে নিয়েছি।’

যদিও তিনি তার ধর্ম পরিবর্তন করার কোনো কারণ তুলে ধরেননি। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিনি নিয়মিত মুসলিম বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। সেখান থেকেই তিনি ইসলামের আলোতে আলোকিত হন এবং এই ধর্মে উৎসাহী হয়ে পড়েন। এরপর তিনি আরো বহুদিন এই ধর্মকে অনুসরণ করে অবশেষে জানুয়ারিতে ধর্ম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads