• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
রমজানে সময়গুলো কাজে লাগাতে হবে

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

রমজানে সময়গুলো কাজে লাগাতে হবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৯

চলছে কল্যাণ, ক্ষমা ও সৌভাগ্যের মাস। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রমজানের মহামূল্যবান সময়গুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাতে কী কী করা যায়, পাঠকদের সুবিধার্থে আজকের লেখায় একটি তালিকা দেওয়া হলো-

ফজরের আগে

১. আল্লাহর দরবারে তওবা-ইস্তেগফার ও দোয়া করা। কারণ মহান আল্লাহ প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করে বলেন, ‘কে আছে আমার কাছে দোয়া-প্রার্থনাকারী, আমি তার দোয়া কবুল করব।’ (মুসলিম)। ২. সেহরি খাওয়া : নবী (সা.) বলেন, ‘সেহরি খাও। কারণ  সেহরিতে বরকত রয়েছে।’ (বুখারি, মুসলিম)

ফজরের পরে

১. ফজরের সুন্নত আদায়। কারণ রসুল (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা আছে তার থেকে উত্তম।’ (মুসলিম)। ২. ইকামত পর্যন্ত দোয়া ও জিকিরে মশগুল থাকা। নবী (সা.) বলেন, ‘আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)। ৩. ফজরের নামাজ আদায়। ৪. সুন্নত হিসেবে সূর্যোদয় পর্যন্ত জিকির-তেলাওয়াতের মাধ্যমে মসজিদে অবস্থান। ৫. সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নামাজ আদায়।

জোহরের সময়

১. জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজ আদায়। অতঃপর কিছুক্ষণ কোরআন তিলাওয়াত কিংবা ধর্মীয় বই পাঠ। ২. আসর পর্যন্ত বিশ্রাম নেওয়া। কারণ মহানবী (সা.) বলেন, তোমার ওপর তোমার শরীরেরও হক আছে।

আসরের সময়

১. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতারির আয়োজনে সহায়তা করা। এর মাধ্যমে কাজের চাপ হালকা হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালোবাসাও বৃদ্ধি পায়। ২. আসরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা। সম্ভব হলে নামাজিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিংবা শোনা অথবা পরস্পর আলোচনা করে জ্ঞান অর্জন করা।

মাগরিবের সময়

১. মাগরিবের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা। যদিও ইফতারি পূর্ণরূপে না করা যায়। বাকি ইফতারি নামাজের পর সেরে নেওয়া মন্দ নয়। অতঃপর সন্ধ্যায় পঠিতব্য জিকির-আজকার পাঠ করে নেওয়া। ২. স্বভাব অনুযায়ী রাতের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে তারাবির নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

এশার সময়

১. জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করা। ২. ইমামের সঙ্গে সম্পূর্ণ তারাবির নামাজ আদায় করা। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও পুণ্যের আশায় রমজানে কিয়াম করবে (তারাবিহ পড়বে), তার বিগত সব (ছোট গুনাহ) ক্ষমা করা হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)। ৩. সম্ভব হলে বিতরের নামাজ শেষ রাতে পড়া। রসুল (সা.) বলেন, তোমরা বিতরকে রাতের শেষ নামাজ করো।’ (বুখারি, মুসলিম)। তবে কারো শেষ রাতে পড়া সম্ভব না হলে, তারাবির পরপর আদায় করে নেওয়া চাই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads