• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
মহাজগতের মুসাফির

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

মহাজগতের মুসাফির

  • প্রকাশিত ০৩ মার্চ ২০২১

ইসলামের ইতিহাস ও বিশ্বনবীর জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় মেরাজ। এটি বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের অনেক বড় একটি মুজিজা আর উম্মতে  মোহাম্মাদির জন্য অনেক বড় একটি নেয়ামত।  কোরআনুল কারীমে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেরাজ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে (সে রাতে) আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।’ (সুরা ইসরা, আয়াত-১) এ মেরাজ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়তলাভের ১১তম বছরের কোনো এক রাতে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল। অনেকে ২৬ রজব দিবাগত রাতের কথা বলে থাকেন। তৎকালীন সময়ে তা ছিল সৃষ্টিজগতের সেরা আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। মেরাজের আশ্চর্যজনক ও তৎপর্যপূর্ণ ঘটনায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান ও উচ্চ মর্যাদাই প্রকাশ পেয়েছে। মেরাজের এ ঘটনায় বিশ্বাস স্থাপন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য তার আক্বিদা-বিশ্বাসের অংশও বটে। মেজারে ঘটনায় মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

হজরত মালিক ইবনে সাসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এক সময় আমি কাবা ঘরের হাতিমের অংশে ছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার কাছে এলেন। তিনি আমার এ স্থান থেকে ওই স্থানের মাঝের অংশটি (হলকুমের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত) চিরে ফেললেন। তারপর আগন্তুক আমার হূদপিণ্ড বের করলেন। তারপর আমার কাছে একটি সোনার পাত্র আনা হলো যা ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার হূদপিণ্ডটি ধৌত করা হলো এবং ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে যথাস্থানে আবার রেখে দেওয়া হলো। তারপর সাদা রং-এর একটি জন্তু আমার কাছে আনা হলো। যা আকারে খচ্চর হতে ছোট ও গাধা হতে বড় ছিল। (জারুদ বলেন, হে আবু হামযা, এটাই কি বুরাক? আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হ্যাঁ’।) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সে একেক কদম রাখে দৃষ্টির শেষ সীমায়। আমাকে তার ওপর সওয়ার করানো হলো। তারপর আমাকে নিয়ে জিবরিল আলাইহিস সালাম চললেন।

প্রথম আসমান : প্রথম আসমানে নিয়ে এসে (জিবরিল) দরজা খুলে দিতে বললেন : জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরিল। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন,  মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠান হয়েছে? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন বলা হলো, মারহাবা, উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হলো। আমি যখন (প্রথম আসমানে) পৌঁছলাম, তখন সেখানে আদম আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, ইনি আপনার আদিপিতা আদম আলাইহিস সালাম, তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার পুত্র ও নেক্কার নবীর প্রতি খোশ আমদেদ।

দ্বিতীয় আসমান : তারপর (সেখান থেকে) উপরের দিকে চলে দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে (জিবরিল) দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞাসা করা হলো কে? তিনি বললেন, জিবরিল। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন,  মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তারপর বলা হলো-মারহাবা! উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। তারপর (দ্বিতীয় আসমানের দরজা) খুলে দেওয়া হলো। সেখানে পৌঁছলাম তখন সেখানে ইয়াহ্ইয়া ও ‘ঈসা আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তাঁরা দুইজন ছিলেন একে অপরের খালাত ভাই। তিনি (জিবরিল) বললেন, এরা হলেন, ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা আলাইহিস সালাম। তাদের প্রতি সালাম করুন। তখন আমি সালাম করলাম। তাঁরা জবার দিলেন, তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি খোশ আমদেদ।

তৃতীয় আসমান : এরপর (সেখান থেকে) তিনি আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দিকে চললেন, সেখানে পৌঁছে জিবরিল বললেন, খুলে দাও। তাঁকে বলা হলো, কে? তিনি উত্তর দিলেন, জিবরিল। জিজ্ঞাসা করা হলো আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। বলা হলো, তাঁর জন্য খোশ-আমদেদ। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। (তৃতীয় আসমানের) দরজা খুলে দেওয়া হলো। আমি সেখানে পৌঁছে ইউসুফ আলাইহিস সালামকে দেখতে পেলাম। জিবরিল বললেন, ইনি ইউসুফ আলাইহিস সালাম। আপনি তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম, তিনিও জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই, নেক্কার নবীর প্রতি খোশ-আমদেদ।

চতুর্থ আসমান : তারপর জিবরিল আলাইহিস সালাম আমাকে নিয়ে উপর দিকে চললেন এবং চতুর্থ আসমানে পৌঁছলেন। আর দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরিল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন বলা হলো, তাঁর প্রতি মারহাবা। উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। (৪র্থ আসমানের দরজা) খুলে দেওয়া হলো। আমি (সেখানে) ইদরিস আলাইহিস সালামের কাছে পৌঁছলে জিবরিল বললেন, ইনি ইদরিস আলাইহিস সালাম। তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনিও জবাব দিলেন। তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা।

পঞ্চম আসমান : এরপর তিনি আমাকে নিয়ে উপর দিকে গিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরিল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি উত্তর দিলেন, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। বলা হলো, তাঁর প্রতি মারহাবা। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। সেখানে পৌঁছে হারূন  আলাইহিস সালামকে পেলাম। জিবরিল বললেন, ইনি হারূন আলাইহিস সালাম তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনিও জবাব দিলেন। বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা।

ষষ্ঠ আসমান : তারপর আমাকে নিয়ে যাত্রা করে ষষ্ঠ আকাশে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরিল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন,  মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। প্রশ্ন করা হলো, তাকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। ফেরেশ্তা বললেন, তার প্রতি মারহাবা। উত্তম আগন্তুক এসেছেন। সেখানে পৌঁছে আমি মূসা আলাইহিস সালামকে পেলাম। জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, ইনি মূসা আলাইহিস সালাম। তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা। (সেখান থেকে) আমি যখন অগ্রসর হলোাম তখন তিনি (মূসা আলাইহিস সালাম) কেঁদে ফেললেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কিসের জন্য কাঁদছেন? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার পর একজন যুবককে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, যাঁর উম্মত আমার উম্মত হতে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।

সপ্তম আসমান : তারপর জিবরিল আলাইহিস সালাম আমাকে নিয়ে সপ্তম আকাশের দিকে গেলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞাসা করা হলো এ কে? তিনি উত্তর দিলেন, আমি জিবরিল। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন,  মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কি? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। বলা হলো, তাঁর প্রতি মারহাবা। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। আমি সেখানে পৌঁছে ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে দেখতে পেলাম। জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, ইনি আপনার পিতা তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন। বললেন, নেক্কার পুত্র ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা।

সিদরাতুল মুনতাহায় আগমন : [‘সিদরাহ’ শব্দের অর্থ কূল বৃক্ষ আর ‘মুনতাহা’ শব্দের অর্থ শেষসীমা। পৃথিবী হতে ঊর্ধ্বলোকে উপনীত হয়ে তা ওখানে গিয়েই থেমে পড়ে। তারপর তার অপর পাড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সেখান হতে তা গ্রহণ করে উপরে নিয়ে যান। শেষ সীমায় চিহ্নস্বরূপ ওই স্থানটাতে একটা কূল বৃক্ষ থাকায় ওই সীমান্ত চিহ্নকে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ বলা হয়।] তারপর আমাকে সিদ্রাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো।  (সেখানে) দেখতে পেলাম, তার ফল ‘হাজার’ অঞ্চলের মটকার ন্যায় এবং তার পাতাগুলি হাতির কানের মতো। আমাকে বলা হলো, এ হলো সিদরাতুল মু্নতাহা। সেখানে আমি চারটি নহর দেখতে পেলাম। যাদের দুইটি ছিল অপ্রকাশ্য আর দুইটি ছিল প্রকাশ্য। তখন আমি জিবরিল আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ নহরগুলি কী? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য দুইটি নহর হলো জান্নাতের। আর প্রকাশ্য দুইটি হলো নীল নদী ও ফুরাত নদী।

বায়তুল মামুর : তারপর আমার সামনে ‘আল-বায়তুল মামুর’ প্রকাশ করা হলো, এরপর আমার সামনে (৩টি পাত্র পরিবেশন করা হলো)- একটি শরাবের পাত্র, একটি দুধের পাত্র ও একটি মধুর পাত্র রাখ হলো। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তখন জিবরিল বললেন, এটিই হচ্ছে ফিতরাত। আপনি ও আপনার উম্মতগণ এর উপর প্রতিষ্ঠিত।

৫০ নামাজকে ৫ ওয়াক্তে সাব্যস্ত : তারপর আমার ওপর দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো। এরপর আমি ফিরে আসলাম। মূসা আলাইহিস সালামের সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন? আল্লাহতায়ালা আপনাকে কী আদেশ করেছেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমাকে দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে সমর্থ হবে না। আল্লাহর কসম! আমি আপনার আগে লোকদের পরীক্ষা করেছি এবং বনি ইসরাইলদের হেদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। তাই আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের (বোঝা) হালকা করার জন্য আরজ করুন। আমি ফিরে গেলাম। ফলে আমার ওপর হতে দশ (ওয়াক্ত) কমানো হলো। আমি আবার মূসা আলাইহিস সালামের কাছে ফিরে এলাম। তিনি আবার আগের মতো বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। ফলে আল্লাহতায়ালা অরো দশ (ওয়াক্ত) কমিয়ে দিলেন। ফেরার পথে মূসা আলাইহিস সালামের কাছে পৌঁছলে, তিনি আবার আগের কথা বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। আল্লাহতায়ালা আরো দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা আলাইহিস সালামের কাছে ফিরে এলাম। তিনি আবারো একই কথা বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। তখন আমাকে প্রতিদিন দশ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের আদেশ দেওয়া হয়। আমি ফিরে এলাম। মূসা আলাইহিস সালাম ওই কথাই আগের মতো বললেন।

আমি আবার ফিরে গেলাম, তখন আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়। তারপর মূসা আলাইহিস সালামের কাছে ফিরে এলাম। তিনি বললেন, আপনাকে কী আদেশ দেওয়া হয়েছে? আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করতেও সামর্থ্য হবে না। আপনার আগে আমি লোকদের পরীক্ষা করেছি। বনি ইসরাইলদের হেদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য আরো সহজ করার আরজি পেশ করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি আমার রবের কাছে আরজি করতে লজ্জাবোধ করছি। আর আমি এতেই সন্তুষ্ট হয়েছি এবং তা মেনে নিয়েছি। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি যখন (মূসা আলাইহিস সালাম থেকে বিদায় গ্রহণ করে সামনের দিকে) অগ্রসর হলাম, তখন এক ঘোষণাকারী ঘোষণা দিলেন-‘আমি আমার অবশ্য প্রতিপাল্য নির্দেশ জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের ওপর হালকা করে দিলাম।’ (বুখারি শরিফ, ৩৬৭৪, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা ৫৪৮-৫৫০)

লেখক : মাওলানা মনিরুজ্জামান খান

শিক্ষার্থী, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম

হাটহাজারী  চট্টগ্রাম

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads