• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

আলোর মুখ দেখল ‘আলোকিত রমজান’

  • প্রকাশিত ১৪ মার্চ ২০২১

মাহমুদ হাসান

 

 

 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখল, লেখক সম্পাদক মুফতি উবায়দুল হক খানের ‘আলোকিত রজযান’। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অল্প কয়েকদিনেই পাঠক মহলে বেশ আলো ছড়িয়েছে। এই বইটি রমজান মাসে ইবাদত-আমলের অন্যতম এক পাথেয়।

রমজান মাস। মুমিনের বসন্ত ও বৈশাখ মাস। আমল ও ইবাদতের মাস। আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্যলাভের মাস। রমজান মাস আল্লাহর অশেষ নেয়ামত। এর প্রতিটি সময় ও মুহূর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন-হাদিসে রয়েছে এর বিপুল ফজিলত। এ মাসে মর্যাদায় নফল ওয়াজিবের সমান। ওয়াজিব ফরজের সমান। আর একটি ফরজ সত্তরটি ফরজের সমান। শুধু তাই নয়, এ মাসে কেউ যদি পবিত্র কোরআনের একটি হরফ পড়ে, তাহলে তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হয় অন্য মাসের ত্রিশ হরফ পড়ার সমান সাওয়াব। কেউ সফেদ মনে এক গ্লাস পানি দিয়েও যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হয় দিনভর রোজা রাখার সাওয়াব।

এছাড়াও এমন বহু ছোট-খাটো ইবাদতে পাওয়া যায় বড় প্রতিদান। বৈশাখ আসলে যেভাবে কৃষকের মুখে ফুটে উঠে প্রাপ্তির হাসি। ঠিক তেমনিভাবে রমযান আগমনে মুমিনের অবস্থাও এমনটি হওয়া চাই। ঘরে ফসল তোলার অদম্য স্পৃহায় কৃষক যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠে ঘামঝরা মেহনতে। কাটফাটা রোদ, গরমের তীব্রতা সব উপেক্ষা করে কৃষক যেভাবে একাকার হয়ে যায় কঠোর শ্রমে। তদ্রূপ আমাদের উচিত, রমজানে সকল অলসতা ঝেড়ে ফেলে মগ্ন হওয়া স্রষ্টার ইবাদতে। ডুবে যাওয়া খোদাপ্রেমের অথৈ সাগরে। উজ্জীবিত হওয়া রাসুলপ্রেমে অদম্য চেতনায়। রমজানের আলো দ্বারা আলোকিত করা জীবনটাকে। একজন কৃষক যদি জীবিকার দায়ে হাসিমুখে বরণ করতে পারে বে-শুমার কষ্ট-ক্লেশ। তবে আমরা কেন পারবো না আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ইবাদতে মগ্ন হতে। তাই আসুন, পবিত্র রমজান কাটিয়ে দেই ইবাদত-বন্দেগিতে। অর্জন করি মহামহিমের সন্তুষ্টি। মিশে যাই ধ্রুবতারাদের আলোর মিছিলে।

‘সমাগত শাবান, শবেবরাত, পবিত্র রমজান, আত্মশুদ্ধির মাস রমজান, তাকওয়া অর্জনের চাবিকাঠি, মহিমান্বিত শবেকদর, ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত, জাকাতের শরয়ী বিধান’ এরকম শিরোনামে বেশকিছু প্রবন্ধের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে গ্রন্থটি। এর সাথে শায়খুল ইসলাম আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি দা. বা.-এর রমযান বিষয়ক চমৎকার ১০টি বয়ানের অনুবাদও সংযুক্ত করা হয়েছে। আশা করি পাঠক অনেক উপকৃত হবেন।

মুফতি উবায়দুল হক খান। একজন প্রতিভাবান তরুণ আলেম। মাদরাসার শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিও করে যাচ্ছেন সরব। বাংলা সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর ভালো দক্ষতা। লিখছেন বই। একাধিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন প্রবন্ধ-নিবন্ধ। আছেন মাসিক পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও। তাঁর সম্পাদিত সাহিত্য সাময়িকী ‘প্রতিভা’ তরুণদের মাঝে বেশ সমাদৃত। তাঁর রচনা সাবলীল ও সুখপাঠ্য। ‘আলোকিত রমজান’ তাঁর প্রকাশিত তৃতীয় গ্রন্থ। এর পূর্বে নারী বিষয়ক ‘সুখের নীড়’ প্রকাশ হয়েছে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে। দ্বিতীয় গ্রন্থটি মাজহাব বিষয়ক ‘মাজহাব : পরিচয় ও প্রয়োজন’। প্রকাশ হয়েছে জানুয়ারি ২০১৭ সালে। আশা করি তাঁর আগের গ্রন্থদ্বয়ের ন্যায় এ গ্রন্থটিও পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হবে।

কীভাবে কাটাব মাহে রমজান! শুরু থেকে শেষ, দিন এবং রাত-সবটুকু উঠে এসেছে আলোকিত রমজানে। বইটি রোজাদারদের জন্য পূর্ণাঙ্গ একটি গাইডবুক হিসেবে কাজ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। চলুন আলোকিত হই। ১৭৬ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রকাশ করেছে প্রহর প্রকাশন। বইটির গায়ের মূল্য রাখা হয়েছে তিনশত টাকা। বইটি ঘরে বসে পেতে যোগাগোগ করুন ০১৭৩৫-৮৯১৩১৯ নাম্বারে।

লেখক : শিক্ষার্থী জামিয়া সাঈদিয়া কারীমিয়া, সাঈদনগর, ভাটারা, ঢাকা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads