জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আজ বৈঠক করে বাংলাদেশে রমজান মাস কোনদিন থেকে শুরু হবে তা জানিয়ে দেবে। গতকাল সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
এতে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল রমজান মাসের তারিখ নির্ধারণে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভাপতিত্ব করবেন। দেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ নম্বরে ফোন করে অথবা ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানানোর অনুরোধ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া চাঁদ দেখার খবর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করে জানানোর অনুরোধ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ রোববার দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে দেশটিতে।
সুরক্ষা রীতি মেনেই তারাবি : রমজানে তারাবির নামাজ আদায় নিয়ে এ বছরও নতুন নির্দেশনা আসছে। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মতো সুরক্ষানীতি মেনেই নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করবে সরকার। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দিনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিছুর রহমান সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই সার্কুলার জারি হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ এপ্রিল মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। আলেমরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্ক থাকতে হবে। রোজার সঙ্গে মসজিদে জমায়েত হওয়া বা মসজিদে আসার কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা, ইফতার, সেহেরি-সব ঘরেই হবে। সোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ বলেছিলেন, তারাবির নামাজ মৌলিকভাবে মসজিদের চেয়ে ঘরে পড়লে সওয়াব বেশি। আমরা কোরআন শরিফ খতমের জন্য মসজিদে জামাতে পড়ি, সবাই তো আর হাফিজ না। তাই রমজানের ইবাদত হিসেবে কোনো অসুবিধা হবে না। কেবল এতেকাফের সঙ্গে মসজিদের সম্পর্ক, এ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে মসজিদের সম্পর্ক নেই। এতেকাফ হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, ফরজ নয়। এটা যদি মুয়াজ্জিন সাহেবও করেন তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। আর তারাবির নামাজ মসজিদে পড়তে হবে এমন কথা নেই। প্রসঙ্গত, গত বছর সৌদি আরবেও মসজিদে তারাবির জামাত হয়নি।
