• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাকাত

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাকাত

  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০২১

ইসলামের সুরম্য প্রাসাদ যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর নির্মিত তার মধ্যে অন্যতম হলো জাকাত। এটি ইসলামী সমাজ ও অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। ইসলামী অর্থনীতিতে যেভাবে অভাবি, বিত্তহীন, নিঃস্ব ও অক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূরণ ও কল্যাণ সাধনের নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে, অন্য কোনো ধর্মে সেভাবে নিদের্শনা দেওয়া হয়নি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ৩২ বার জাকাতের কথা উল্লেখ্য করেছেন। তম্মধ্যে ২৮ জায়গায়  কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা সালাতের পর সবচেয়ে বেশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন। জাকাত ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। জাকাতের বিধান কোনো দেশ বা কালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করে সমাজে শান্তি স্থাপনে অন্যতম নিয়ামক। মানুষ সাধারণত নিজের নফস বা সম্পদের প্রতি দুর্বল থাকে। এজন্য ইসলামে সালাতের বিধান দেওয়া হয়েছে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে এবং সাথে সাথে জাকাতের বিধান দেওয়া হয়েছে সম্পদকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে।

প্রাচীনকালে জাকাত : হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবি-রাসুলদের মধ্যে জাকাতের বিধান কার্যকর ছিল। তবে সেটির প্রক্রিয়া ছিল ভিন্ন ভিন্ন। কেননা এটি ছাড়া সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও মমত্ববোধ প্রবাহমান হতে পারে না। আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আ.)-এর ওপর জাকাতের বিধান দিয়ে বলেন, ‘আমি তাদেরকে ইমাম করেছি, তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথ প্রদর্শন করত। তাদেরকে ওহি প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম করতে, সালাত কায়েম করতে এবং জাকাত প্রদান করতে। তারা আমারই ইবাদত করত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৭৩) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহতায়ালা বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে থেকে বারোজন নেতা নিযুক্ত করেছিলেন। আর আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের সাথেই রয়েছি যদি তোমরা সালাত কায়েম কর, জাকাত দাও। (সুরা মায়িদা, আয়াত-১২) অনুরূপভাবে হজরত ঈসা (আ.)-এর ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত ও জাকাত আদায় করতে।’  (সুরা মারয়াম, আয়াত-৩১)

জাকাতের পরিচয় : জাকাত আরবী শব্দ। জাকাত শব্দটি একবচন এর বহুবচন হলো ‘জাকওয়াত’। অর্থ পবিত্রতা। যেহেতু জাকাত ধন-সম্পদকে পবিত্র করে কৃপণতা ও পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে। এ অর্থে আল্লাহতায়ালা বলেন, অবশ্যই সফলতা লাভ করেছে, যে পবিত্রতা অর্জন করেছেন। (সূরা আলা, আয়াত-১৪) অতএব, জাকাত মানে হলো, পবিত্রতা, বৃদ্ধি, বরকত ও প্রশংসা। পরিভাষায় জাকাত হলো একমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে হাশেমী নয় এবং তাদের আযাদকৃত গোলামও নয় এমন কোনো গরিব মুসলিম ব্যক্তিকে অর্থসম্পদের মালিক বানিয়ে দেওয়া। এ শর্তে যে, এতে দাতা দুনিয়াবি কোনো লাভ বা উপকার লাভ করতে পারবে না। ইসলামী পরিভাষায় জীবনযাত্রার অপরিহার্য প্রয়োজন পূরণের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর অতিক্রম করলে ওই সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট অংশ (২.৫০ টাকা) আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে জাকাত বলে।

জাকাত ফরজ হওয়ার সময়কাল : কেউ কেউ বলে থাকেন জাকাত মক্কায় ফরজ হয়েছে। তার প্রমাণ হলো, হজরত জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.) বাদশাহ নাজ্জাশীর নিকট বলে ছিলেন ‘তিনি আমাদের নামাজ, জাকাত ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার নির্দেশ দেন।’ অধিকাংশ আলেমগণের মতে জাকাত দ্বিতীয় হিজরিতে রোজা ফরজ হওয়ার পরপরই শাওয়াল মাসে ফরজ হয়। মক্কা বিজয়ের পর জাকাত আদায়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি প্রবর্তন হয়। তাদের দলিল হলো আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, তারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজের নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুগত্য করে। তারাই যাদেরকে আল্লাহ অচিরেই দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা, আয়াত-৭১) উক্ত আয়াতটি হিজরতের পর মদিনায় অবতীর্ণ হয়।

জাকাতের গুরুত্ব : জাকাত হলো দরিদ্র লোকদের অধিকার। সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে জাকাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাথে সাথে অর্থনৈতিক ভারসাম্যও রক্ষা হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো এবং আনুগত্য করো রাসুলের। যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হতে পারো।’ (সুরা নূর, আয়াত-৫৬) অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, নেক আমল করেছে, সালাত কায়েম করেছে এবং জাকাত আদায় করেছে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে। মৃত্যুর পর তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-২৭৭) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি তিনটি কাজ করবে সে ঈমানে স্বাদ লাভ করবে, যে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে, জানবে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আনন্দচিত্তে পবিত্র মন নিয়ে জাকাত আদায় করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং-১৫৮২)। নবীজি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি জাকাত প্রদান করে, তার সম্পদের অকল্যাণ ও অমঙ্গল দূর হয়ে যায়।’ (তারবানী, মুজামুল আউসাত-১৬০৮)

জাকাত ফরজ হওয়ার কারণ : মানুষের যাবতীয় সম্পদ-সম্পত্তির মালিক একমাত্র আল্লাহ। এগুলো মানুষের হাতে আমানতস্বরূপ মাত্র। মানুষ নিজ নিজ মেধা ও শ্রম দিয়ে সম্পদ অর্জন করে এবং খরচ করে থাকেন। সম্পদ উপার্জনের যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মধ্যে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। ফলে সমাজের মধ্যে দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করছে। বিপরীতে কিছু কিছু মানুষ অভাব অনটনের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থার করছে। ধনী-দরিদ্রের এই বিশাল পার্থক্য দূর করার জন্যই আল্লাহতায়ালা জাকাতের বিধান প্রদান করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যাতে সম্পদ শুধু তোমাদের অর্থশালীদের মধ্যেই অবর্তিত না হয়।’  (সুরা হাশর, আয়াত-০৭) জাকাত হলো অসহায় ও দরিদ্রের অধিকার। এটি ধনী লোকদের কোনো দয়া ও অনুগ্রহ নয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তাদের (ধনীদের) সম্পদে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা যারিয়াত, আয়াত-১৯) হযরত আবুযার গিফারী (রা.) প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যাকাতের আদেশ করেছেন; এর রহস্য কী? জবাবে তিনি বলেন, হে আবুযার, যার আমানতদারিতা নেই তার ঈমান নেই। যে জাকাত আদায় করেনা তার সালাত কবুল হয় না। আল্লাহ ধনীদের ওপর যে জাকাত ধার্য করেছেন তা গরিবদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা ধনীদের মালের জাকাত দাবি করবেন এবং তাদেরকে শক্ত হাতে শাস্তি দেবেন।’

জাকাতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব : জাকাত হলো ইসলামি অর্থব্যবস্থার অন্যতম উৎস। জাকাতের বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ শুধুমাত্র ধনীদের হাতে পূঞ্জীভূত থাকে না বরং কিছু সম্পদ দরিদ্র লোকদের হাতেও যায়। এতে বেকারত্ব কমে যায়। মানুষ ক্ষুধার্থ থাকলে বা দারিদ্র্যপূর্ণ জীবনযাপন করলে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। এমনকি তারা ধর্মকর্মকেও বিসর্জন দিয়ে দেয়। এজন্য প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দারিদ্র্যতা ও কুফরি থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। দারিদ্র্যের কারণে মানুষের চিন্তাশক্তি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইমাম আবু হানিফা (রা.) বলেন, যার বাড়িতে কোনো আটা নেই, তার নিকট কোনো পরামর্শ নিতে যেয়ো না। কারণ, তার চিন্তা বিক্ষুব্ধ হতে বাধ্য। সুতরাং জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় কারো পক্ষে সম্পদের পাহাড় গড়া এবং কারো পক্ষে গরিব থাকার সুযোগ নেই। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাকাতকে ইসলামের সেতুবন্ধন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। (বায়হাকী) জাকাতের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হলো দারিদ্র্য বিমোচন করা বা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যার কারণে জাকাত বণ্টনের ৮টি খাতের মধ্যে ৪টি খাতই (ফকির, মিসকিন, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্ত) অসহায় ও অভাবগ্রস্ত মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাকাত : মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও দারিদ্র্য দূরীকরণে জাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বণ্টন ব্যবস্থা। সাথে সাথে  এটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হলো ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস-চাদাঁবাজি মুক্ত সমাজব্যবস্থা। এ ধরনের সামাজিক অপরাধের অন্যতম মূল কারণ হলো অভাব বা দারিদ্র্যতা। জাকাত হলো এ ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ডের মহৌষধ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ইসলাম নামক স্বর্গীয়জীবন বিধান তৎকালীন আইয়্যামে জাহেলিয়ার সমস্ত অন্ধকারের ওপর আলোর মশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই সময় কালে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি ছিল জাকাত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বণ্টনের ব্যবস্থা চালু ছিল। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে জাকাত সংগ্রহ করার জন্য কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন।

হজরত আবু বকর (রা.)-এর খেলাফতকালে একদল লোক জাকাত প্রদানে অস্বীকার করলে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘কেউ জাকাতের ব্যাপারে এক খণ্ড রশি দিতেও অস্বীকৃতি জানায়, আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।’ (সহিহ বুখারি-১৩৯৯) পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও এ পদ্ধতি কার্যকর ছিল। ফলে রাষ্ট্র সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছিল। জাকাতব্যবস্থা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে মজুতদারির হাতে সম্পদ পূঞ্জীভূত হয় না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় প্রিয়নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং পরবর্তী খোলাফায়ে রাশেদীনের কর্মতৎপরতা এবং এরই ধারাবাহিকতায় উমাইয়া খলিফা হজরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজের খেলাফতে জাকাত গ্রহণকারী লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়েছিল। অর্থাৎ জাকাত আদায় ও বণ্টনের শৃংখলা প্রতিষ্ঠার কারণে মানুষের দারিদ্র্যতা সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হয়েছিল।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০.৫ শতাংশ লোক অতি দরিদ্র এবং সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশ। আর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ লোক জাকাত প্রদানে সামর্থ্য রাখে। এক হিসেবে দেখা গেছে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা জাকাত আসে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই আদায় করে থাকেন আবার অনেকেই যথাযথভাবে আদায় না করে কিছু সংখ্যক দিয়েই তুষ্ট থাকেন। যার ফলে একদিকে সমাজের বঞ্চিত অংশ তাদের শরয়ী অধিকার পাওয়া থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ প্রতি বছর জাকাতের ত্রিশ হাজার কোটি টাকা যদি যথাযথভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজে লাগানো হতো তাহলে দেশের অর্থব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হতো। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা করলে উক্ত টাকা আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

 

লেখক :মাওলানা মুহাম্মদ মুনিরুল হাছান

সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা)

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads