• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
সুচরিতা আক্ষেপ!

সুচরিতা

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

সুচরিতা আক্ষেপ!

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ নভেম্বর ২০১৮

শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন সুচরিতা। পরে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু সে পুরস্কার পেলেও আক্ষেপ রয়ে গেছে তার। যখন অভিনয় খুব বেশি বুঝতেন না, সে বয়সেই ‘জাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শক তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ‘জীবন নৌকা’ চলচ্চিত্রেও। কিন্তু দুটি চলচ্চিত্রের একটির জন্যও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। পেয়েছেন চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য।

অনেকটা মনে কষ্ট নিয়েই সুচরিতা বলেন, ‘জাদুর বাঁশি চলচ্চিত্রে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছি, আমাকে এমনই জানানো হয়েছিল সে সময়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অন্য একজন ম্যাডাম সেই পুরস্কার পেয়েছিলেন। আমি নাকি পুরস্কার নিয়ে খেলা করব, মর্যাদাই বুঝব না পুরস্কারের, সে জন্য আমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি। অথচ নিজের অভিনয় দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। পুরস্কার না পাওয়ার সে কষ্ট এখনো মনে হলে খারাপ লাগে।’

সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘কাগজের নৌকা’ চলচ্চিত্রে সুচরিতার বড় বোন বেবী রিটাও অভিনয় করেছিলেন। বড় বোনের শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন তিনি এবং তারই বান্ধবী চম্পা। সেখানেই পরিচালক মুস্তাফিজের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে শিশু চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান সুচরিতা। তখন তার নাম ছিল হেলেন। ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি শিশু চরিত্রে আরো অভিনয় করেন ‘নিমাই সন্নাসী’, ‘অবাঞ্ছিত’, ‘রংবেরং’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘কত যে মিনতি’, ‘রাজমুকুট’, ‘বাবলু’সহ আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। নায়িকা হিসেবে আজিজুর রহমানের নির্দেশনায় ‘স্বীকৃতি’, দীলিপ বিশ্বাসের ‘সমাধি’ এবং অশোক ঘোষের ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে পরপর অভিনয় করেন। একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং মুক্তির পর তার দর্শকপ্রিয়তার কারণে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

চলচ্চিত্রের দুটি মানুষ তার ভীষণ প্রিয়। নায়করাজ রাজ্জাক ও ববিতা। এ প্রসঙ্গে সুচরিতা বলেন, ‘ববিতা আপা একজন খাঁটি মানুষ। তার বাসার পাশেই লেকভিউ হাসপাতালে আমার প্রথম সন্তান আবির যখন হলো, তখন যতদিন হাসপাতালে ছিলাম ততদিন তিন বেলার খাবার তিনি তার বাসা থেকে আমাকে পাঠাতেন। তিনিও আসতেন আমার খোঁজখবর নিতে। আরো ভালো লাগার বিষয় হলো ববিতা আপার সন্তান অনিকের কাপড়ই আমার সন্তান আবির প্রথম পরেছে। প্রথম মা হওয়ার সময় ববিতা আপার সেইসব স্মৃতি কোনোদিনই ভোলার নয়। সত্যিই তিনি একজন মহান নারী।’

বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন সুচরিতা। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আমার মা আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করছেন। এতে তার স্বামীর চরিত্রে আলীরাজ এবং সন্তানের চরিত্রে সাইমন সাদিক অভিনয় করছেন। আগামী ডিসেম্বরে ছবির শেষ লটের চিত্রায়ণ হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads