• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
চঞ্চল চৌধুরীর ‘বিষয়টি পারিবারিক’

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

চঞ্চল চৌধুরীর ‘বিষয়টি পারিবারিক’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৯

ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবার কোরবানির ঈদের নাটকে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ‘আয়নাবাজি’র পর সম্প্রতি ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে অভিনয় করেছেন ধারাবাহিক নাটকে। নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘বিষয়টি পারিবারিক’-এ অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, চার কন্যা ও এক পুত্র নিয়ে ব্রিগেডিয়ার (অব.) রিজওয়ান খানের সংসার। তিনি তার পরিবার এবং সব সদস্যকে সর্বদা মিলিটারি আইনের ভেতরে রাখেন, অন্তত তিনি তাই মনে করেন। তার বড় মেয়ে শায়লা বিবাহিত কিন্তু বাবার বাড়িতে থাকেন। পাঁচ বছর ধরে স্বামী বিদেশ আছেন। মেজো মেয়ে সানজানা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। দেখে শান্তশিষ্ট মনে হলেও প্রেম করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষক সাজ্জাদ আহমেদের সঙ্গে। যিনি একই সঙ্গে একজন লেখকও। সেজো মেয়ে ফারজানা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, স্মার্ট এবং চঞ্চল। কথায় কথায় তার মেজাজ খারাপ হয়। সব কাজের মধ্যে ফাঁকিবাজি। ছোট মেয়ে আফসানা। মাঝে মাঝে পড়াশোনার পাশাপাশি তার একমাত্র কাজ হলো আশপাশের ছেলেদের সঙ্গে নিয়মিত প্রেম করা।

বড় ছেলে রায়হান ব্রিলিয়ান্ট এবং একরোখা। অনার্স, মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া রায়হান কখনোই তিন মাসের বেশি কোনো চাকরিতে টিকতে পারে না। চাকরির মতো তার কোনো প্রেমিকাও বেশিদিন টেকে না।

এমন কঠিন আইনে পরিচালিত পরিবারের গল্প শুরু হয় কাজের লোককে বিদায় করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সাহেব কাজের লোক বিদায় করে দিয়ে বাসার সব কাজ পুত্র-কন্যাদের মধ্যে ভাগ করে দেন। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এগিয়ে যেতে থাকে গল্প।

ঈদের নাটকের ব্যস্ততা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘কোরবানির ঈদের জন্য নাটকে কাজ করছি। সম্প্রতি সাগর জাহানের ‘সোনার খাঁচা’ নামে একটি নাটকের কাজ শেষ করলাম। আমি কোনো কাজ করার আগে গল্পটাকে বেশি প্রাধান্য দিই। কেননা এখনো অনেক ভালো মানের গল্প আছে। তাই বেছে বেছে ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। সামনে আরো কিছু নাটকের শুটিং বাকি আছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলোর কাজও শেষ করব।’

টিভি না বড় পর্দায়-কোন ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল বলেন, ‘আমার উত্থান মঞ্চ থেকে। আমি অভিনয় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার কাছে ছোট বা বড় পর্দা বলে কিছু নেই। শুরু থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, তার সিংহভাগই দর্শকপ্রিয় হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, সেগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শকের ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে চান চঞ্চল। তিনি মনে করেন, তার আজকের এ অবস্থানের পেছনে দর্শকরাই মূল ভূমিকা পালন করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিনয় নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হলো প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে আমাকে মানুষ আলাদা করে চেনে, পছন্দ করে। রাস্তায় বের হলে কথা বলতে চায়, ছবি তুলতে চায়। ফলে আরো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads