বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে গত বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের মাসব্যাপী প্রদর্শনী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবনভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’। লিয়াকত আলী লাকীর গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, সুর সংযোজন ও নির্দেশনায় মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নাট্যাখ্যান প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, দেশের প্রায় ১০০টি নাটকের দল ‘মুজিব মানে মুক্তি’র চিত্রনাট্য রিহার্সেল করেছে। এই দলগুলো পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি প্রদর্শনীতে অংশ নেবে।
বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবনভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’। আবহমান বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, শোষণ-বঞ্চনা, দ্রোহ ও মুক্তির স্বপ্ন বিনির্মাণ এই নাটকের মূল উপপাদ্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৩ বছরের পাকিস্তানি অপশাসন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে দেশ গঠন এবং তার মহাপ্রয়াণ এই নাটকের উপাত্ত।
নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘ইতিহাসনির্ভর নাট্য নির্মাণ চিরকালই কঠিন কাজ। আর একজন মহাপুরুষের সংগ্রামী জীবন নিয়ে শিল্প নির্মাণ আরো কঠিন। ইতিহাসের শিল্পিত উপস্থাপন ও জাতির পিতার একটি জাতি ও দেশ নির্মাণ ও তার মহাপ্রয়াণে নিরীক্ষাধর্মী শিল্প শৈলী, নানা ইমেজ ও কোরিওগ্রাফের ভেতর দিয়ে উপস্থাপনই এই প্রযোজনার মূল কর্ম। ইতিহাসের সত্যের চেয়ে শিল্পের সত্য অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি আবেগ আশ্রিত কাব্যিক শিল্প উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এই কাজটির মাধ্যমে।’