• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

আবদুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকীতে সরাসরি গাইবেন দুই ছেলে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের লোকগানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শিল্পী আবদুুল আলীম। তিনি লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকেই আবদুল আলীম সংগীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। দেশভাগের পর আবদুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আবদুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আবদুল হালিম চৌধুরীর কাছে তিনি লোকসংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আবদুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হলো-‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’।

১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৭৫ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তার ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে। গুণী এ শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই ওইদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে তারই দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীমের অংশগ্রহণে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে তার সন্তানরা তাদের বাবার গানের বিশাল ভান্ডার থেকে গান পরিবেশন করবেন। 

আবদুুল আলীমের বাবা ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং মাতা খাসা বিবি। ১৯৫৬ সালে আবদুুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ প্লেব্যাক করেন। ‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে আবদুুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads