• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

মানুষের ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের সিনেমার বহু কালজয়ী গানের সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। বেশ কিছুদিন যাবত যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এই গুণী সংগীতশিল্পী। সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটির নিমন্ত্রণে অতিথি শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন চ্যারিটি শোতে গান গাইছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, ডালাস, আটলান্টায় বিভিন্ন চ্যারিটি শোতে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আবার আগামী সপ্তাহে ভার্জিনিয়ায় একটি শোতে অংশ নিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরবেন।

মুঠোফোনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গেই বলছি, দিন দিন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা, সম্মান যেভাবে বাড়ছে তাতে সত্যিই মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই, আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। গেল ১১ সেপ্টেম্বর ছিল আমার জন্মদিন। খুব ইচ্ছে ছিল এবারের জন্মদিনে দেশে থাকার। কারণ এবার আমি ৫০-এ পা দিয়েছি কিন্তু থাকতে পারিনি। আমার পরিবার, আমার অনলাইন স্কুলের ৪০ জন বাচ্চাসহ আমার অন্যান্য ভক্ত যারা আছেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল এবারের জন্মদিনটি বিশেষভাবে রাঙানোর। কিন্তু হলো না। মিস করেছি আমার মায়ের আদর, মায়ের হাতের পায়েশ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আমার ইচ্ছে না থাকার পরেও এখানে সবার আবেগ, ভালোবাসার কাছে আমি হেরে গেছি। আমার জন্মদিনকে ঘিরে এখানে যারা ছিলেন তারা যে আয়োজন করেছিলেন তাতে বিস্মিত হয়েছি। মানুষের ভালোবাসার সত্যিই কোনো তুলনা হয় না।’

কনকচাঁপা কবিতা লিখতে পছন্দ করেন। তবে জীবনে একবারই তিনি গান লিখেছিলেন। গানটি ছিল ‘আমি সত্যি করে ওভাবেই বলিনি, বলতে চাইনি অমন করে, সুখী করতে গিয়েও আমি, দুঃখ দিয়েছি বারে বারে’। মইনুল ইসলাম খানের সুর সংগীতে গানটি গেয়েছিলেন তৃষিতা সাহা।

বাংলাদেশের কিংবদন্তি সুরকারদের সুরে বহু শ্রুতিমধুর গান গেয়েছেন কনকচাঁপা। তবে নিজে কখনো সুর করা নিয়ে ভাবেননি একটিবারের জন্যও। তার মতে, যার যা কাজ সেটাই তিনি করলে অনেক ভালো হবে। কনকচাঁপা বলেন, ‘যেহেতু আমি উচ্চাঙ্গ সংগীত নিয়মিত চর্চা করি, তাই এই চর্চার সময় সুরের খেয়ায় ভাসতে ভাসতেই মনের অজান্তেই সুর তৈরি হয়ে যায়। মনে মনে এমন সুর করেছিও। কিন্তু সেসব সুরের বাণিজ্যিকীকরণ হয়নি।’

মানুষ অমর হতে চায়। কনকচাঁপাও এর বাইরে নন। তারপরও যখন ভাবনায় আসে এই দুনিয়ায় একটি সময় তিনি আর থাকবেন না তখন খুব কষ্ট হয়, খারাপ লাগে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন মায়ের হাসি, ভিক্ষুকের মুখের হাসি, বৃদ্ধ চাচার চায়ের কাপে তৃপ্তির চুমুক, ছোট বাচ্চাদের ঈদের জামা পড়ার আনন্দ এক অন্যরকম শান্তি এনে দেয় মনে। এই শান্তি ছেড়ে একদিন চলে যেতেই হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads