• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

অরুণার আক্ষেপ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন শক্তিমান অভিনেত্রী। একশরও বেশি সিনেমায় যেমন অভিনয় করেছেন নায়িকা হিসেবে, ঠিক তেমনি দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি ভার্সেটাইল একজন অভিনেত্রী হিসেবে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা তার সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করা নিয়ে। তারপরও তিনি চেষ্টা করেন পেশাগত কাজ অভিনয়ে ব্যস্ত থাকতে।

সেই ধারাবাহিকতায় অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে দীপ্ত টিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ নাটকে অভিনয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধারাবাহিকটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। অরুণা বিশ্বাস জানান, নাটকটি নির্মাণ করছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। এদিকে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করলেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি অরুণা বিশ্বাসের। অবশ্য এ নিয়ে তার কোনো দুঃখবোধ নেই। নেই কোনো কষ্ট। তবে আক্ষেপ আছে তার। কারণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার মতো চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন, এটা তার আত্মবশ্বাস। অনেক অনেক সিনেমার নাম বলার প্রয়োজন নেই।

খান আতাউর রহমানের ‘পরশ পাথর’, শিবলী সাদিকের ‘সম্মান’, বাবরের ‘দয়াবান’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, এম এম সরকারের ‘আত্মম্মান’ এবং সুভাষ দত্তের ‘আবদার’- এসব সিনেমাতে অরুণা বিশ্বাস যে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন তাতে সেই সময়কালে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তার অর্জনের তালিকায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হয়তো যুক্ত হবে। কিন্তু বারবার আশাহত হয়েছেন অরুণা, আশাহত হয়েছেন তার ভক্ত দর্শক। অবশ্য অনুনয়-বিনয় করে সম্পর্কের খাতিরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে কোনোরকম আগ্রহ ছিল না তার কখনো। যোগ্যতার নিরিখেই তিনি পুরস্কার প্রাপ্তিতে বিশ্বাসী। আর তাই দর্শকের ভালোবাসাকেই তিনি সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে আসছেন সব সময়। এখনো দর্শক তাকে যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন সেটাই তার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচ্য তার কাছে। 

অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শক আমাকে ভালোবাসেন। আমি বিশ্বাস করি, আস্থা রাখি একদিন হয়তো সময় হবে, একদিন হয়তো সৎ পথে থাকার বিচার হবে, একদিন হয়তো অভিনয়ের স্বীকৃতি মিলবে জাতীয় পর্যায়ে। হয়তো সেদিন এই স্বীকৃতির প্রতি কোনো আগ্রহ বা ভালোবাসা থাকবে না। কারণ যখন মানুষের ভালোবাসার প্রয়োজন হয়, যখন মানুষের স্বীকৃতির আকাঙ্ক্ষা থাকে তখন যদি ন্যায়বিচার না হয়, সময় পেরিয়ে গিয়ে তার প্রতি আশা রাখা অযথাই মনে হয়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads