• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

এক ঘণ্টার ফরমেটের নাটক শিগগির বিলুপ্ত হয়ে যাবে

  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৯

জিয়াউল জিয়া। একাধারে সাংবাদিক, ছড়াকার, গীতিকার, নাট্যকার ও নির্মাতা। লেখালেখি এবং ছবি নির্মাণের নানা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রীনন পাখোয়াজ

 

বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই-

- আমি একটি প্রিন্টিং এজেন্সিতে হেড অব মার্কেটিং পদে কাজ করছি। আপাতত পেশা বলতে এটাই। পাশাপাশি, অবসরে পড়ছি, লিখছি- এইতো। আর একটা নতুন কাজের প্ল্যানিং করছি। সময়মতো সব জানানো হবে।

আপনি দীর্ঘদিন ধরে ছবি নির্মাণ থেকে দূরে। কারণ কী?

- আসলে এখনকার নাটকের যে বাজেট, তাতে ভালো কাজ করা কষ্টকর। তার মাঝেও অনেকে ভালো কাজ করছেন। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারিনি। আর মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি এই এক ঘণ্টার ফরমেটের নাটক খুব শিগগির বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মানুষের এখন এত সময় নেই। মানুষ এখন কম সময়ের কিছু দেখতে চায়। যে কারণে ছবির ট্রেলরের প্রতি দর্শকদের যে আগ্রহ, টিজারের প্রতি সেই আগ্রহ দেখা যায় না। স্বল্প সময়ের কিছু কাজের ডিজাইন করছি। সেসব নিয়েই হাজির হতে চাই। আশা করি এই কনসেপ্ট সবার ভালো লাগবে।

ছিটমহল নিয়ে আপনি প্রথম ছবি নির্মাণ করেছিলেন। সেটার কী অবস্থা?

- সেটার নাম ছিল ‘সিক্স পিএম’। প্রথম থেকেই ছবিটির প্রযোজক ছবিটি সিনেমা হলে মুক্তি দিতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু আমরা এটাও জানতাম যে, নানা কারণে বর্তমান সময়ে ছবিটির সেন্সর পাওয়া যাবে না। যখন ছিটমহল মুক্তির দ্বারপ্রান্তে, তখন প্রযোজককে ফোন করে বলেছিলাম, ‘চলেন ভাই, কোনো প্রাইভেট টেলিভিশনে প্রোডাকশনটা দিয়ে দিই।’ কিন্তু তিনি নারাজ। যেহেতু তিনি প্রযোজক, তাই তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

তিনবার পিছিয়েছেন ‘জনের ডায়েরি’র শুটিং। কারণ কী?

- শুটিংয়ে নামার একদম শেষ মুহূর্তে অ্যারেঞ্জমেন্ট সমস্যার কারণে কাজটি করতে পারিনি। আরেকটি সমস্যা আছে বাজেট নিয়ে। ছবিটি একভাবে করতে চেয়ে একজনের কাছ থেকে বিনিয়োগ নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষমেশ, মনে হলো এরকম একটি স্ক্রিপ্ট এমন অনাড়ম্বর করে তৈরি করাটা ঠিক হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ছবিটি নিয়ে এখন যে প্ল্যানিং তাতে আরো অর্থের প্রয়োজন। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা চলছে। ব্যাটে-বলে হলেই শুটিংয়ে যাব। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যেই শুট শেষ করতে পারব।

‘বুচি’ কি উপন্যাস নাকি চিত্রনাট্যের চরিত্র?

- দুটিরই। উপন্যাস লিখছি। একটি অংক লেখার পরই তার চিত্রনাট্য করে ফেলছি। ‘বুচি’র বিপরীতের চরিত্রের নাম ‘সাগর’। দম বন্ধ করা ভালোবাসার গল্প এটি। এটি নিয়ে ধারাবাহিক নির্মাণের ইচ্ছে রয়েছে। সাগরের চোখের জল তো আর বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। তবে এটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লিখছি। তাই যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ ঘটছে, সেভাবেই লেখা হচ্ছে। যে কারণে এটা শেষ করার জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা হিসাব করে বলা যাচ্ছে না। দেখা যাক, গল্পের শেষ পরিণতিতে সাগরের ভাগ্যে কী জোটে!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads