• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

সালতামামি - ২০১৯

নাটকে ছিল এক্সপেরিমেন্টের বছর

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ছোট পর্দার বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম নাটক। বছড়জুড়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অসংখ্য নাটক প্রচার করে থাকে। বর্তমানে টেলিভিশনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশিত হচ্ছে নাটক। আবার টেলিভিশনে প্রচারিত অধিকাংশ নাটক ইউটিউবে দেওয়া হচ্ছে যাতে পরবর্তীতে নাটকটি দর্শক দেখার সুযোগ পায়। চলতি বছরে প্রচারিত ও প্রকাশিত বেশ কিছু নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

এ বছরের অন্যতম আলোচিত ও প্রশংসিত নাটক মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায় ঈদুল আজহার নাটক ‘আশ্রয়’। নাটকের অভিনয়শিল্পীর তালিকা দেখেই দর্শক অপেক্ষায় ছিলেন নাটকটি দেখতে। তবে গল্প বলে নিরাশ করেননি পরিচালক। এতে তাহসান খান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতির বাবা-মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় মোশাররফ করিম ও জাকিয়া বারী মমকে।

আশফাক নিপুণের নির্দেশনায় ‘মিস শিউলি’তে গল্প ফুটে উঠেছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ‘মিস শিউলি’ চরিত্রে অপি করিম প্রাণবন্ত অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন। বাড়ির ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। তোতলার চরিত্রে তিনিও দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। আবুল হায়াত, সাফা কবির, ইয়াশ রোহান, শিল্পী সরকার অপু এবং সুমন পাটওয়ারী প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন।

বাস্তব জীবনের ছায়া নিয়ে নির্মিত নাটক ‘জয়েন ফ্যামিলি’। পারিবারিক ঘরানার এ নাটকে পিতা-মাতাহীন অবহেলিত এক মেয়ের গল্প তুলে ধরেছেন নন্দিত নাট্যকার বৃন্দাবন দাস। ‘জয়েন ফ্যামিলি’ নাটকটিতেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। নাটকটিতে চঞ্চল চৌধুরী ছিলেন বরাবরের মতোই অনবদ্য। পারিবারিক জীবন ঘনিষ্ঠ এ নাটকে বৃন্দাবন দাস, নাজনীন হাসান চুমকি, নাদিয়া আহমেদ, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতিসহ প্রত্যেকের অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের।

এ বছরের প্রশংসিত নাটকের মধ্যে সর্বাধিক নাটকের অভিনেতা তাহসান খান। ‘লেডি কিলার’ ও ‘লেডি কিলার ২’ সিরিজ নাটক দুটি নারীপ্রধান গল্প হলেও এতে নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন তিনি। তাহসান যে কাজ বাছাইয়ে আরো সচেতন হয়েছেন এ বিষয়টি এ বছরে তার কাজের দিকে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে। এই নাটকে তিশা একজন নির্ভীক মেয়ে। সমাজের কোনো অসংগতি দেখলেই কেবল তার মারকুটে স্বভাব বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই মেয়েটিও যে সংসার এবং পরিবারের জন্য অনেক কিছুর সঙ্গে আপস করতে পারে তাই দর্শককে অন্য রকম ভাবনার জায়গা তৈরি করে দেয়।

মেহজাবিন যে নিজেকে ভাঙতে চেয়েছেন তা এ কাজটি দেখেও বোঝা যায়। আশফাক নিপুণ মেধাবী নির্মাতা। তার কাজে আলাদা হিউমার ও সম্পর্কের টানাপড়েন থাকে। এ নাটকে মেহজাবিন একেবারেই গ্ল্যামারহীন। তার বিপরীতে আবির মির্জার অভিনয়ও দর্শকদের মন কেড়েছে।

‘উবার’, গৎবাধা গল্পের ভিড়ে এমন ভিন্ন গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। নাটকটি দেখার পর দর্শক মনে ভাবনার উদয় হবে।

একটি বেসরকারি ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান, যাদের হাতে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের সবটুকু সম্বল বিশ্বাস করে তুলে দেয়। হঠাৎ মানুষদের সেই শেষ সম্বল নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ছেলেকে মিথ্যা ঋণের হাত থেকে মুক্ত করতে মা তার জীবন বিসর্জন দেন। আমাদের সমাজের এই চিরচেনা গল্পকে নিজস্ব ঢঙে ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স’ নামের নাটকে রূপান্তরিত করেছেন ভালোবাসার গল্পকথক মিজানুর রহমান আরিয়ান। নির্মাতার অন্যান্য নাটকের মতো এই নাটকটিতেও রয়েছে মন ভালো করে দেওয়া কিছু ডায়ালগ। এখানে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও মিথিলা।

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা কালেভদ্রে নাটকে অভিনয় করেন। কিন্তু প্রতি বছরই আলোচিত নাটকের তালিকায় থাকে তার একটি-দুটি কাজ। এ বছরও আলোচনায় এসেছে তার অভিনীত ‘সাবলেট’ নাটকটি। এতে অপূর্বর সাবেক প্রেমিকার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেন পূর্ণিমা। একেবারেই মেকাপহীন স্কুলশিক্ষিকার চরিত্র ছিল তার। অপূর্বও তার রোমান্টিক ও হ্যান্ডসাম ইমেজ ভেঙেছেন। অভিনয় করেছেন ছোট চাকরি করা সংসারী ছেলের ভূমিকায়। যে পরিবার ও মাতৃটানে অদ্ভুত সুন্দর ভালোবাসার সম্পর্ককে ছিন্ন করেও নির্ভার!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads