আদম ব্যবসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা হোক- এমন দাবি তুলেছেন নাট্য জগতের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এজন্য তিনি পোস্টার বানিয়ে রাস্তাও নেমেছেন। পোস্টারে আদম ব্যবসায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন এই অভিনেতা। তবে বাস্তবে এমন দাবি করেননি মোশাররফ করিম। ‘আদম’ শিরোনামের একটি নাটকে এমন চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন শিখর শাহনিয়াত। এখানে দেশ থেকে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে কাজের সন্ধানে যেসব মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায়, তাদের সঙ্গে আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে কীভাবে আদম ব্যবসায়ীরা ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে, তারই চিত্র ফুটে উঠেছে নাটকে।
ব্যক্তিজীবনে মোশাররফ করিম অনেকটাই ফ্লেক্সিবল। এ তারকা কিছুতেই ভারাক্রান্ত হন না।
টিভি খুললেই মোশাররফ করিমকে দেখা যায়।
এ বিষয়ে তিনি বলে, ‘আমি গুণে গুণে কাজ করি না। সংখ্যা আমার কাছে কোনো গুরুত্বই বহন করে না। যে গুণে গুণে কাজ করে তাকেও আমি অবজ্ঞা করছি না, সে অধিকার আমার নেই। আমি আজকে যে কাজটি করছি সেই তীব্রতা নিয়েই থাকি। যতক্ষণ সেই কাজটি শুট না শেষ হয় সেই তীব্রতা আমি পুষে রাখি। সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে আমি খুবই তীব্র থাকি, সেই কাজটি শেষ হলে আমি পরবর্তী কাজের তীব্রতায় প্রবেশ করি। আমি সবার কাছে দোয়া চাইব যেন আমার সেই তীব্রতাটা নষ্ট না হয়।’
একঘেয়েমি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে মানতে নারাজ মোশাররফ করিম। বলেন, ‘একঘেয়ে অভিনয় নিয়ে অভিযোগ আমার কাছে নতুন নয়। এ রকম অভিযোগ গত ৭-৮ বছর ধরেই নিয়মিত শুনে আসছি। এগুলো আসেই। তো এমন প্রশ্ন নিয়ে আমার মনে হয়, আমরা যারা এস এম সুলতানের আঁকা ছবি দেখি তা কিন্তু দেখলেই চিনতে পারি। এটা তার স্টাইলের কারণে। তার স্টাইল আমাদের পরিচিত। আবার ঔপন্যাসিকের নাম নেই, হয়তো ছিঁড়ে গেছে। কিন্তু তার উপন্যাসের দুই পৃষ্টা পড়েই আমি বলে দিতে পারি যে এটা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। কারণ তার লেখার স্টাইল আলাদা। প্রত্যেকের আলাদা একটা স্টাইল আছে। আমার ক্ষেত্রেও তো তাই, আমি যখন কোনো চরিত্রে অভিনয় করি তখন তো আমি চরিত্রটায় ধারণ করি, কিন্তু তার মধ্যেও মোশাররফ করিম থেকে যান। দ্যাট ইজ মাই স্টাইল।’