• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ঐশীর গণসংগীত ‘গর্জন’

ফাইল ছবি

শোবিজ

ঐশীর গণসংগীত ‘গর্জন’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২০

চলতি প্রজন্মের আলোচিত সংগীতশিল্পী ঐশী। অল্প সময়ে তার গাওয়া বেশকিছু গানই শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়েছে। অডিওর পাশাপাশি সিনেমায় প্লেব্যাকও করছেন নিয়মিত। পড়াশোনা করছেন ডাক্তারিতে। পড়াশোনার বাইরের সময়টা স্টেজ শো ও টিভি অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে কাটে ঐশীর। বর্তমানে গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত এ শিল্পী।

নানাবিধ বিদ্রোহে, শ্রেণি-জাগরণ কিংবা রাজনৈতিক আদর্শে রচিত গানকে সাধারণত গণসংগীত বলে অভিহিত করা হয়। যে ধারার গান সচরাচর এখন আর হয় না। অথচ যুগে যুগে এই গণসংগীত হয়ে উঠেছিল বঞ্চিত কিংবা সচেতন মানুষের প্রতিবাদের মূল ভাষা হিসেবে।

এবার তেমনই এক গণসংগীত কণ্ঠে তুললেন এই প্রজন্মের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী ঐশী। তবে সেটি কোনও বাস্তব আন্দোলনের জন্য নয়। রাইসুল তমালের পরিচালনায় সদ্য নির্মিত ‘আদা সমুদ্দুর’ নাটকের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে এটি। নাম ‘গর্জন’।

ওমর ফারুক বিশালের কথায় গানটির সুর করেছেন মুরাদ নূর। সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু।

নির্মাতা তমাল জানান, আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের জন্য রাজনীতি, প্রেম ও বিরহের সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে ‘আদা সমুদ্দুর’ নাটক। যেখানে রাজনৈতিক নেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আরো আছেন মুশফিক আর ফারহান, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, নিকুল কুমার মণ্ডল, তাবাসসুম মিথিলা, দাউদ নূর, শিখা খান মৌ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

‘গর্জন’ শিরোনামের এই গণসংগীত গাওয়া প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, ‘সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এই প্রথম কোনও গান গাইলাম। নাটকের গল্প, গানের কথা ও সুর আমার মন কেড়েছে। কাজটির সঙ্গে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। গানটির রেশ ধরে সারাবিশ্বে ফিরে আসুক সুস্থধারার রাজনীতি- এটাই প্রত্যাশা।’

নির্মাতা রাইসুল তমাল বলেন, “গল্প অনুযায়ী নাটকে তিনটি গান থাকছে। তিনটি গানই লিখেছেন ওমর ফারুক বিশাল। সুর করেছেন মুরাদ নূর। শুটিং এর মধ্যেই শেষ করেছি। ‘গর্জন’ রেকর্ড করার সময় বার বার মনে হচ্ছিল- ঐশীর জন্যই বুঝি গানটির জন্ম হলো। অসাধারণ গেয়েছেন ঐশী।”

‘আদা সমুদ্দুর’ প্রকাশ পাচ্ছে আগামী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বদেশ এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেল ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনে।

ঐশীর পড়াশোনা ও গান মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ তারকা। তবে ব্যস্ততা উপভোগ করেন ঐশী। এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে ঐশী বলেন, পড়াশোনার প্রেসার আমার সব সময়ই থাকে। পাশাপাশি গানে সময় দিচ্ছি। আমার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ প্রকাশ হয়েছিল ২০১৫ সালে। এবার চার বছর পর নতুন অ্যালবামের কাজ করছি। ‘ঐশী এক্সপ্রেস-২’ আসবে শিগগিরই। এরই মধ্যে এ অ্যালবামের কাজ অনেকখানি শেষ করেছি। এখানে ১০টি গান থাকবে।

এ বিষয়ে ঐশী আরো বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে অ্যালবামটি নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে নয়টি গানের কাজ শেষ হয়েছে। গানগুলো হলো ‘আকাশ’, ‘মনের খবর’, ‘খুঁজে ফিরি’, ‘লাভ ইজ মার্কেট আউট’, ‘ভোলামন’, ‘ঝিলিমিলি’, ‘হূদয়ের ধন’, ‘মন্দাবাসি’ ও ‘ঘোমটা পরা ড্যান্স’। গানগুলোর সুর-সংগীত করেছেন শফিক তুহিন, আহম্মেদ হুমায়ুন,  বেলাল খান, মার্সেল, অরূপ ও অ্যাপিরাস। গানগুলোর ধরন প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন ধরনের গানই রয়েছে। তবে আমার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে এগুলো সাজিয়েছি। গানগুলো থেকে ভিডিও করারও পরিকল্পনা রয়েছে। আমার বিশ্বাস প্রকাশ হলে গানগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

প্লেব্যাকের কি অবস্থা? ঐশী উত্তরে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ছবির গানের কাজ করেছি সম্প্রতি। সামনে আরো কয়েকটি ছবির গানে কণ্ঠ দেয়ার কথা রয়েছে। ব্যাটে-বলে মিললে করে ফেলব।’

বর্তমানে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে ঐশী বলেন, ‘এখন মোটামুটি ভালো। এখনতো ইউটিউব মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে যে কেউ নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে পারছে। আর ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। বেশ কিছু কোম্পানি এখন ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। তবে অ্যালবাম প্রকাশ হচ্ছে একেবারেই কম। এটা একটা খারাপ লাগার ব্যাপার। যদিও এই সময়েও একক অ্যালবাম করলাম। তাও ১০টি গান নিয়ে। আমার মনে হয় ডিজিটালির পাশাপাশি কিছুসংখ্যক হলেও ফিজিক্যাল অ্যালবাম প্রকাশ হওয়া উচিত। কারণ ফিজিক্যাল অ্যালবামের আবেদন অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না। তবে আমি আশাবাদী যে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা সামনে ভালোর দিকে যাবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads