আগের বিয়ে গোপন করে নিজেকে কুমারী পরিচয়ে ফের বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহিদুল ইসলামকে তলব করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম মিলার বিরুদ্ধে করা মামলায় আগামী ১১ মার্চ তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন আল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মিলার সাবেক স্বামী এসএম পারভেজ সানজারি এ মামলা করেন। ওইদিন একই আদালত মামলাটি পল্লবী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পল্লবী থানার পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম তদন্তের পর মিলা ও তার বাবার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৫/৪২০/৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়েই আজ আদালত মিলা ও তার বাবাকে আদালতে তলব করলেন।
মামলায় বাদী পারভেজ সানজারি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর বুঝতে পারেন মিলা একজন বদমেজাজী, অহংকারী, নেশাগ্রহণকারী ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী, যার কারণে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বাদী গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন।
তালাক হওয়ার পর মিলা বাদীর বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। এ ছাড়া বাদীর মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে বাদীকে উত্ত্যক্ত ও অপমান করতে থাকেন। পরে বাদীকে হত্যার জন্য ২০২৯ সালের ২ জুন এসিড নিক্ষেপ করেন। ওই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন পারভেজ।
এরপর বাদী জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) একেএম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিয়ে করেন, যা মিলা এবং তার বাবা শহিদুল ইসলাম গোপন করে মেয়েকে কুমারী পরিচয়ে বাদীর সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করে প্রতারণা করেন। এ ছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালেল ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়েতে প্রতারণাপূর্বক ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, বাদী পারভেজ সানজারিকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় মিলা ও তার পিএস কিমকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় কিম গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন। আর পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মিলাকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু কিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। সেখানে বাদী নারাজি দাখিল করেছেন। আর বাদীর বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা মামলা বর্তমান সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।