• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
অপর্ণা ঘোষের ‘আপন আঁধার’

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

অপর্ণা ঘোষের ‘আপন আঁধার’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মার্চ ২০২০

মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘আপন আঁধার’। শফিকুর রহমান শান্তনুর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা দীপু হাজরা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমন, অপর্ণা ঘোষ, এফ এস নাঈমসহ আরো অনেকে।

‘আপন আঁধার’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে এক স্বামী স্ত্রীর বোঝাপড়া নিয়ে গল্প ‘আপন আঁধার’। তাদের অতীত পাপ হেলুসিনেশন হয়ে তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এক অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু মেলবন্ধন তৈরি করে তাদের মধ্যে। সম্প্রতি এক দুর্ঘটনায় মৌমির তিন মাসের বাচ্চা মিসকারেজ হয়। এই বাচ্চাকে নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক স্বপ্ন কাজ করছিল। অকালে সেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় মৌমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাই ডাক্তারের পরামর্শে তাকে নেপাল নিয়ে আসে অভ্র। এখানে আসার পর মৌমি এক ধরনের আতঙ্কে ভোগে। তার মনে হয় কেউ তাকে আড়াল থেকে ফলো করছে। কিন্তু সে সামনে আসছে না। অভ্র তাকে প্রবোধ দেয়, এসব কিছু না। তার মনের ভুল। ডাক্তার বলেছে, এ ধরনের মানসিক অবস্থায় এমন নানা ধরনের হেলুসিনেশন হয়ে থাকে। কেউ কেউ বাচ্চা দেখে থাকে। কিন্তু সত্যি একদিন আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক মুখ। সেই মুখ মৌমির চেনা। রাজ। অভ্রর সঙ্গে বিয়ের ৫ বছর আগে যার সাথে পরিচয় মৌমির। ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিল তারা। তাদের ভালোবাসার ফসল এক অনাগত সন্তান আসারও কথা ছিল। কিন্তু রাজ অন্য ধর্মাবলম্বী ও ওই সময় রাজের পারিবারিক, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় তারা তাদের বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতির ব্যাপারটা গোপন করে। মৌমিও বাচ্চা নিতে চায়নি বলে তিন মাসের মাথায় অ্যাবরশন করিয়ে ফেলে। রাজ চাইছিল, তাদের ভালোবাসার প্রথম নিদর্শন পৃথিবীর আলো দেখুক। তাই রাজের অনুমতি না নিয়েই মৌমি কাজটা করেছিল। এতে রাজ ভয়ঙ্করভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু মৌমির কোনো উপায় ছিল না। এভাবেই এগিয়ে চলে ‘আপন আঁধার’ নাটকের গল্প।

চট্টগ্রামের মেয়ে অপর্ণা ঘোষ। ছোটবেলা থেকেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত। মূলত বাবাকে অনুসরণ করেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। অপর্ণার বাবা অলোক ঘোষ চট্টগ্রামের অন্যতম থিয়েটার শিল্পী। তবে অপর্ণার শোবিজ অঙ্গনে পথচলা শুরু লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এই রিয়েলিটি শোর পর অপর্ণাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

অপর্ণা বলেন, লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে আমার একটি নাটকে অভিনয় করতে হয়েছিল। তখন আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। ভয়ে আমার হাত-পা কেঁপেছিল। মঞ্চে অভিনয় করলেও ক্যামেরার সামনে এটিই ছিল প্রথম কাজ। অপর্ণা অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’। এরপর এক দশকের অভিনয় যাত্রায় অসংখ্য টিভি নাটক, বিজ্ঞাপনে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই অভিনেত্রী মনে করেন, খুব বেশি নাটকে কাজ করার তাগিদ নেই, মানসম্পন্ন কাজটাই করতে চান তিনি। ব্যতিক্রমী গল্প এবং চরিত্রে অভিনয় করতে বেশি পছন্দ করেন। অপর্ণা কাজের সংখ্যার চেয়ে কাজের মানকে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন। তাই নাটক কিংবা সিনেমায় কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি ভালো চিত্রনাট্যকে প্রাধান্য দেন।

প্রশংসায় গা ভাসান না অপর্ণা। তিনি কাজই করে যাচ্ছেন। অপর্ণা বলেন, ভালো কাজের মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চাই।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অপর্ণা পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এই অভিনেত্রী টিভি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর আগে রেডিওতে শ্রুতি নাটকে অভিনয় করেছেন। চট্টগ্রামে একটি রেডিও নাটকে অভিনয় করে ৩০০ টাকার চেক পেয়েছিলেন। এটা ছিল তার জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক।

অপর্ণা বলেন, তখন আমি কলেজে পড়তাম। টাকাটা পেয়ে বাবা-মাকে দিয়েছিলাম। বাবা সুভ্যেনির হিসেবে সেই ৩০০ টাকার চেক রেখে দিয়েছিলেন। এখনো সেটা আছে। আর লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেরা ষষ্ঠতে ছিলাম আমি। প্রতিযোগিতা শেষে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। এই টাকাও মা-বাবাকে দিয়েছিলাম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads