• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

শাকিবের বিরুদ্ধে অপুর ফের অভিযোগ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২০

অপু বিশ্বাস ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় নায়িকা। বহু সিনেমায় অভিনয় করে তিনি পরিণত হয়েছেন দর্শকপ্রিয় নায়িকায়। এখনো সিনেমায় অভিনয় করছেন। এবার চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে আবারো দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুললেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

করোনার দিনগুলো কীভাবে কাটছে জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে আমার। অন্য সময় তো নানা কারণে ব্যস্ত থাকি। চাইলেও হয়তো তেমনভাবে সময় দিতে পারি না। তাই এখন পুরোটা সময় আমার ছেলে জয়কেই দিচ্ছি। জয় বেশ খুশি। কারণ সারাদিনই আমি ওর সঙ্গেই থাকছি। ওকে নিয়ে বিভিন্ন খেলা খেলছি, ছবি আঁকছি।’

 শাকিব খান তার পুত্র জয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা জানতে চাইলে বেশ আক্ষেপ করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আসলে ও (শাকিব) বেশ কিছুদিন ধরে কোনো খবর নিচ্ছে না জয়ের। পাশাপাশি জয়ের জন্য কোনো খরচও দিচ্ছে না। আর দেশের খারাপ অবস্থাতেও উনি কোনো খবর নেননি জয়ের।’

অপু বিশ্বাস একজন নন্দিত নায়িকা এবং একজন সংগ্রামী মা। তার এই দুটি বিষয়কে বিবেচনা করে ‘আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ তাকে বাংলাদেশের একজন ‘আলোকিত নারী’ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করে। করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে অপু বিশ্বাস নিয়মিত স্টেজ শো নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন। অপু বিশ্বাসের সিনেমায় আগমন ঘটে ২০০৫ সালে প্রয়াত আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।

এতে তিনি শাবনূর ফেরদৌসের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পান। পরে এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। চাষী নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘দেবদাস’ সিনেমায় তিনি তার স্বপ্নের চরিত্র ‘পার্বতী’র ভূমিকায় অভিনয় করেন। যদিও বা এই সিনেমায় পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পাওয়ায় তার মনে কষ্ট রয়েছে।

বড় পর্দায় অশ্লীলতা প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘অশ্লীলতার সময় সিনেমায় আমার আগমন। যদিও আমি ওসব সিনেমা করিনি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আমি শুটিং দেখেছি। আমার কাছে অশ্লীলতার মানে, একটা মেয়েকে বাজেভাবে উপস্থাপন করা। যেটা দেখতে আমাদের বাজে লাগে। যেহেতু আমরা সবাই এক বাড়ির। আমাদের সবার মা বোন আছে। এটা মুসলিম প্রধান দেশ। আমাদের এখানে নম্রতা-ভদ্রতা মুখ্য জিনিস। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল, আমি যদি ভালো পোশাকে সিনেমা করি তাহলে তো খুব সমস্যা নয়। এটাও সুন্দরভাবে উপস্থাপন হয়। আমার ভক্তরা জানেন আমি খুব বেশি খোলা পোশাক পরিনি। আমাদের বাংলাদেশের ফ্যাশন হচ্ছে- ঢেকে যত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। বেলা শেষে একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মানতে হয়। অনেক কিছুর বিনিময়ে আমরা এগুলো পেয়েছি। সুতরাং বাংলা সংস্কৃতিটা মেনে চলা উচিত। সেই জায়গা থেকে আমি নায়িকা। বাংলাদেশের নায়িকারা এরকম হয়। আমি মনে করি না অন্যান্য দেশের অভিনেত্রীদের দেখে নিজেদের উপস্থাপন করি না।’

দেশের সিনেমা হল ও সিনেমা প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘আমি যখন ২০১৬ সালে বিরতি নিলাম। এক সময় দেখলাম ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে একদম সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। মনে পড়ে, আমি যখন এফডিসিতে আসতাম, তখন অনেক সময় গাড়িতে বসে থাকতে হতো। অনেক সিনেমার কাজ হতো। শিডিউল পেতে বসে থাকতে হতো। সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলতেন, একটু অপেক্ষা করেন ওদের কাজ শেষ হলেই আমরা ঢুকবো।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads