• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
লোকগান নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় জসলিন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শোবিজ

লোকগান নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় জসলিন

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০২০

সদ্য এসএসসি পাশ করে ফলাফলের পর উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করেছেন জসলিন। করোনার কারণে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি বিলম্ব। কিন্তু তাই বলে বসে নেই তিনি। সংগীত তার ভালবাসার একটি জায়গা। তাই এই সংগীতকে নিয়েই কেটেছে পুরো করোনাকাল। প্রতিদিন সময় করে সাধের হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়েন। গেয়ে উঠেন লোকগান, দেশের গান নয়তো পল্লী গান। এই বয়সে জসলিনের গাওয়া গান শুনে অনেকেই তাজ্জব বনে গেছেন। এতো কম বয়সে ইতিমধ্যে রপ্ত করে ফেলেছেন সংগীতের প্রায় সবকটি মাধ্যম।

দেশাত্ত্ববোধক, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, উচ্চাঙ্গ সংগীত, ভাব সংগীত, আধুনিক, ছড়াগান, লোকগীতি, পল্লীগীতি, লালন ও মুর্শিদীসহ সব ধরণের গানই গেয়ে থাকেন জসলিন। কিন্তু লোক গানকেই বেশি প্রাধান্য দেয় তিনি।

জসলিন যখন ৫ম শ্রেণিতে তখন থেকেই সংগীতের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। তখন থেকেই গাইতেন একটু আধটু। বাবা গান গাইতেন তাই জসলিনের গানের প্রথম শিক্ষক হলেন বাবা প্রদীপ গমেজ নিজেই। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শিখেছেন ওস্তাদ সুবাস ডি কস্তার কাছে।

বাবা প্রদীপ গমেজ কাতার প্রবাসী আর মা রীনা গমেজ গৃহিনী। ২ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জসলিন। এ বছর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু হয় জসলিনের সংগীত চর্চা। আর এ পর্যন্ত তার ঝুলিতে জমা হয়েছে জাতীয় শিশু পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ শতাধীক ক্রেস্ট ও সনদ। দেশের প্রথিতযশা কন্ঠশিল্পী কনক চাঁপার গান শুনেই বড় হয়েছেন। আর তাই কনক চাঁপাকেই তিনি নিজের আইডল মনে করেন। শুধু গান নয়, আবৃত্তি ও নাচেও সমান পারদর্শী জসলিন।

জসলিন বলেন, গানই এখন আমার সব। তবে কিভাবে যে গান আমার এতো আপন হয়ে গেল তা বুঝতেও পারিনি। সব ধরণের গানই গাই, তবে লোক গান আমাকে বেশি টানে। ঈশ্বর যতদিন বাঁচিয়ে রাখে লোক গানকে বুকে লালন করেই এগিয়ে যেতে চাই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads