• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
চলে গেলেন সেলিম খান সংগীতাঙ্গনে শোক

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

চলে গেলেন সেলিম খান সংগীতাঙ্গনে শোক

  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০২০

দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সংগীতার প্রধান সেলিম খান মারা গেছেন। ১০ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।

সংগীত প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি’র মহাসচিব ও সিএমভি’র কর্ণধার এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, করোনা পজিটিভ হয়ে ৪ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেলিম খান। ৯ ডিসেম্বর দুপুর থেকে টানা ২০ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ সেটিও আর কাজ করছিল না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংগীত ইন্ডাস্ট্রি গড়ে ওঠার পেছনে সেলিম ভাইদের অবদান সিংহভাগ। তার মতো মানুষদের মেধা, অর্থ, শ্রমের বিনিময়ে আজকের এই বিশাল ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে। তার এই অকালে চলে যাওয়া আমাদের অনেক ক্ষতির কারণ হলো। দোয়া করি, সেলিম ভাই যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুন।’

সেলিম খান করোনা পজিটিভ হন গত ৪ ডিসেম্বর। এরপর তাকে রাজধানীর ইমপালস হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় ৯ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আশির দশকে সেলিম খানের হাত ধরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সংগীতার জন্ম। রাজধানীর পাটুয়াটুলী তথা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগীত প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংগীতা নিজের অবস্থান ধরে রাখে টানা চার দশক। প্রতিষ্ঠানটি এখনো প্রযোজনা অব্যাহত রেখেছে। ধারণা করা হয়, এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সংগীত ক্যাটালগ রয়েছে সংগীতা তথা সেলিম খানের ব্যানারে।

এদিকে, সেলিম খানের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের ১৯টি একক অ্যালবাম আর ৩৫টির বেশি দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম- সবগুলো সংগীতার ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছে। ফলে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমার আবেগ আর এই মানুষটার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। সেলিম ভাই এভাবে হুট করে এতো দ্রুত চলে যাবেন, ভাবতে পারিনি। ভেবেছিলাম সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে আর একটি অ্যালবাম অন্তত করে ২০টির কোটা পূর্ণ করব। সেটা আর হলো না। মনে পড়ে, ছোটবেলায় যখনই সাউন্ডটেক বা অন্য ব্যানারের সঙ্গে অ্যালবাম করার আগ্রহ প্রকাশ করতাম, পরদিনই নতুন অ্যালবামের অ্যাডভানস পাঠিয়ে দিতেন! আবার অ্যালবাম হিট হলে বাসায় গিফট পাঠিয়ে দিতেন। তাও আবার গিফট হলো সোনার চেন। এভাবেই তাদের মতো অল্প কয়েকজন মানুষ শিল্পীদের সম্মান আর সহযোগিতা করে এই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটাকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে। আমরা যারা আজ বড় বড় শিল্পী বা তারকা হয়েছি, তাদেরকে এই দিনগুলোর কথা মনে রাখা দরকার। সেলিম ভাই, আপনাকে নিয়ে অন্যদিন আরো বড় করে লিখব। আজ আর মানসিক শক্তি পাচ্ছি না। আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুন।’

সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস বলেন, ‘বাংলা সংগীতে সেলিম ভাইয়ের কনট্রিবিউশন হিসাবে পরিমাপ করা যাবে না। বাংলা

সংগীত যতদিন থাকবে, আপনার কথা মনে রাখবে মানুষ। প্রার্থনা করি, আপনার বিশ্রাম হোক বেহেশতে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads