• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
পড়শীর ‘ভুল থেকে শুরু’

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

পড়শীর ‘ভুল থেকে শুরু’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২১

শিল্পীরা সর্বজনীন। তাদের সুর, তাদের অভিব্যক্তিও সর্বজনীন। তাই একজন শিল্পীকে গানের পাশাপাশি অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। নিজের শিল্পী-পরিবার নিয়ে ভাবতে হয়। পড়শী তেমনই এক শিল্পী, যিনি নিজেকে নিয়ে ভাবেন না। ভাবেন তার শিল্পী-পরিবার নিয়ে। তাই তো সমসাময়িক একজন আরেকজনের মধ্যে মান-অভিমান ভুলে শিল্পীদের কল্যাণে এক হওয়ার তাগিদ অনুভব করেন। এ তাগিদটা যে পড়শী মন থেকেই পান। আর মনের তাগিদটা আপনা আপনিই চলে আসে।

নতুন খবর হলো, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাবরিনা এহসান পড়শী ফেসবুকে প্রথম পেজ খোলেন ২০০৯ সালে। ২০১৭ সালে পেজটিতে লাইক ছিল ৭৫ লাখ। যা ছিল তখন বাংলাদেশের শোবিজ জগতের সর্বোচ্চ।

এরপর কিছু টেকনিকাল কারণে পড়শীর সেই পেজটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মুছে দেয়। পড়শী তা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে করতে সেটি আর ফিরিয়ে আনার সময় ছিল না। ২০১৮ সালের শুরুতে আবারো নতুন পেজ খোলেন পড়শী। তিন বছর পর পড়শীর সেই পেজটিও সম্প্রতি ৫০ লাখ ফলোয়ার পূর্ণ করেছে। তাহসানের পর সংগীত জগতে এটিই কারো পেজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফলোয়ার। তবে গায়িকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এই মাইলফলক স্পর্শ করায় বেশ আনন্দিত

অনেক জনপ্রিয় গানের গায়িকা পড়শী। তিনি বলেন, ‘নতুনভাবে পেজ খুলেও যেভাবে ভক্তদের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমার পেজে যুক্ত থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এদিকে ২১ মার্চ নতুন একটি নাটকের গান গেয়েছেন পড়শী। ‘ভুল থেকে শুরু’ শিরোনামের গানটিতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন এর সুরকার ও সংগীতায়োজক আভরাল সাহির। কথা লিখেছেন এম এ আলম শুভ। মহিদুল মহিমের পরিচালনায় ‘ক্রেডিট শো’ নাটকে ব্যবহূত হবে গানটি। এতে অভিনয় করেছেন তাহসান খান ও মেহেজাবীন চৌধুরী। শিগগিরই নাটক ও গানটি প্রকাশ পাবে।

সব ধরনের গান গাইতে পছন্দ করেন পড়শী। বিশেষ করে আধুনিক গান তার বিশেষ পছন্দ।

পড়শী বলেন, ‘আমি যেকোনো গান যেকোনো ছন্দে গাই। প্রতি গানে আমি আমার স্টাইল, গানের ট্র্যাক পরিবর্তন করি। যাতে আমার গানের পার্থক্য আমি নিজেই বুঝতে পারি।’ আগের অনেক গান রিমিক্স হচ্ছে।

গান রিমিক্স হওয়ার ফলে মৌলিক গানগুলো তাদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পড়শী বলেন, ‘আমার কাছে এটা কখনোই মনে হয় না। আসলে যে গান শুনে আমরা বড় হয়েছি, সেগুলো আবার নতুন করে করা হচ্ছে। এটা একটি ভালো দিক। আগের যে গানগুলো আছে, সেগুলোর যদি চর্চা না থাকে তাহলে একটা সময় দেখা যাবে গানগুলো হারিয়ে যাবে। এ গানগুলো পরে আর কেউ মনে রাখবে না। এটা আমাদের দায়িত্ব যে, আগের গানগুলোকে নতুনভাবে বাঁচিয়ে রাখা। এভাবে যেমন পুরনো গানগুলো নতুন করে বেঁচে থাকছে, ঠিক তেমনি কালের পরিক্রমায় আমাদের গানগুলোও আবার নতুন করে গাওয়া হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads