• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
বন্ধ হচ্ছে না নাটকের শুটিং

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

বন্ধ হচ্ছে না নাটকের শুটিং

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তবে নাটকের শুটিং বন্ধের বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানানো হয়নি।

নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে গতকাল রোববার এক বৈঠকে বসেন অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা। সেখানে শুটিং বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘যারা এই লকডাউনে এখনো কাজের শিডিউল তৈরি করেননি তাদের কাজ করতে আমরা নিরুৎসাহিত করব। তবে যাদের শিডিউল ও সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা নিজ দায়িত্বে শুটিং করতে পারেন। এ বিষয়ে সংঘের কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা মনে করি, জীবনের চেয়ে কাজ বড় নয়। সবাই সচেতন হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’

অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা আমাদের মানতে হবে। যদিও শুটিংয়ের প্রজ্ঞাপনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা শুটিং বন্ধের সিদ্ধন্ত নেইনি।’

নাসিম আরো বলেন, ‘নাটকের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সবাইকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে যারা এখনো শুটিংয়ের জন্য সময় দেননি, তাদের আমি নিরুৎসাহিত করব। কিন্তু শুটিং অনেকের রুটি-রুজির মাধ্যম। সেটিও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।’ শুটিংয়ের বিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি প্রসেঙ্গ নাসিম বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। শুটিং নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। গণপরিবহন যেহেতু বন্ধ থাকবে সে ক্ষেত্রে ইউনিট থেকে গাড়ির ব্যাপারে সবার ভাবতে হবে।’

চলতি সময়ে শুটিংয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে। সামনেই ঈদ ও পহেলা বৈশাখ। এখন সব বিশেষ কাজ নিয়েই ব্যস্ত নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা। তাই সবকিছু বিবেচনা করে নির্দেশনা অনুযায়ী শুটিং চালু রাখার এই সিদ্ধান্ত।

এদিকে, অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পীই কাজ না করার পক্ষে। আবার অনেক নির্মাতাই চাচ্ছেন, সময় কমিয়ে কাজ শেষ করতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেত্রী বলেন, ‘এগুলো হঠকারিতা। সংগঠনের যদি স্পষ্ট নির্দেশনা নাই-ই থাকে তাহলে সে সংগঠন কতটুকু উপকারে আসতে পারে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনপ্রিয় শিল্পীদের সবাই ইতিমধ্যে চলতি সপ্তাহ বা ৫ এপ্রিলের শিডিউল দিয়েছেন। সে অনুযায়ী শুটিং স্পট ও সরঞ্জাম ভাড়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিকূলতা থাকলেও আসছে ঈদকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত বেশির ভাগ কাজই শেষ করার চেষ্টা করবেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড বা প্রযোজকদের সংগঠন থেকে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর করোনাক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।

গত বছর ১৯ মার্চ থেকে প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টরস গিল্ড এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নাটকের শুটিং বন্ধ করার বিষয়ে ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads